শুভ ঘোষ, ৩০ জুন ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : মাওয়া শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি-নৌ-রুটে- ঈদকে সামনে রেখে নেয়া হয়েছে বিশেষ-ব্যবস্থা। ঈদের আগেই ব্যাপাক চাঁদাবাজীর শিকার হচ্ছে লৌহজং উপজেলার কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে পার হওয়া যানবাহ চালকদের।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানীর যোগাযোগের অন্যতম ব্যস্ত নৌরুট এটি। এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হন, যাত্রী ও মালবাহী হাজারো যানবাহন। ফলে ঘাট এলাকায় যানজট লেগেই থাকে। আার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাঁদাবাজীর কাজটা সেরে নেন স্থানীয় চাঁদাবাজরা।
তবে ঈদযাত্রায় চাঁদাবাজী ও সবধরনের ভোগান্তি কমাতে মোতায়েন করা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আরো ৫ শতাধিক সদস্য। এছাড়া, পারাপারে যোগ হবে সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়া আরো ৩ টি ফেরি পাশাপাশি নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা তো থাকছেই।
ঈদ মানেই প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ। প্রতিবছরই এই সময় শহর-বন্দরের কর্মব্যস্ত মানুষ শেকড়ের টানে ছুটে যায় গ্রামে। তাই সড়ক কিংবা নৌ-পথে সবখানেই থাকে জনস্রোত। দেশের অন্যতম ব্যস্ত নৌরুট শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার নামেই যার পরিচিতি। তাই চাঁদা বাজী হবে না সেটা কি হয়। যাত্রী বা মালবাহী যানবাহন যাই হোক চাঁদা না দিলে ফেরিতে উঠা যাবেনা । শুধু ফেরিতে উঠাই নয় পাকিং করা যাবে না ঘাটের আশপাশে। তবে চাঁদা টাকা পরিশোদ করলে ফেরিতে ওঠার সিরিয়াল পাওয়া যায় অতিদ্রুত।
চাঁদা হোক বা যে কোন ভোগান্তি এটা এ নৌরুটের নিয়মিত ঘটনা। বছরের বেশিরভাগ সময় এই ঘাটে যানজট যেমন লেগে থাকে তেমনি হয়রানিও নিত্যসঙ্গী। ঈদের আগে দুর্ভোগের এই মাত্রা বেড়ে যায় কয়েক গুন। এ নিয়ে যাত্রীদের কণ্ঠে রাজ্যের অভিযোগ আসছে ঈদে কোনরকম ঝুট ঝামেলা ছাড়াই ঘরে ফেরার প্রত্যাশা দক্ষিণাঞ্চল বাসীর।
ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে বাড়তি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চাঁদার বিষয়টি জানানেই দাবী করে বিআইডবিল্ডউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ জাসম উদ্দিন বলেন, ঈদ আসলে এই রুটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ বেড়ে যায়, তাই যাত্রীরা যাতে নির্বিঘেŒ পারাপার হতে পারে তার জন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেউ চাঁদাবাজীর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, আসছে ঈদে ঘরমুখ মানুষদের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত আরো ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে ১৪ টি ছোট-বড় ফেরি ও ৬০ টি লঞ্চদিয়ে যাত্রী ও যান চলাচল করলেও ঈদ উপলক্ষে যোগ হচ্ছে সাময়িক ভাবে বন্ধ হওয়ার আরো ৩ টি ফেরি ও ২৭ টি যাত্রীবাহী লঞ্চ।