৩ জুলাই ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) ঢাকার গুলশানে ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় নিহত ২০ জনের লাশ মর্গে রয়েছে, যাদের ১৭ জন বিদেশি বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। নিহত বিদেশিদের মধ্যে নয়জন ইতালির, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিনজন বাংলাদেশি, যাদের মধ্যে একজনের যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিকত্ব রয়েছে।
শনিবার সকালে গুলশানের ওই ক্যাফেতে অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর আইএসপিআর জানায়, সেখান থেকে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের অধিকাংশই বিদেশি নাগরিক। রাতেই তাদের গলা কেটে হত্যা করে হামলাকারীরা। কমান্ডো অভিযানের পর গুলশানের ওই ক্যাফের সামনে জড়ো করা হয় নিহতদের লাশ।
কমান্ডো অভিযানের পর গুলশানের ওই ক্যাফের সামনে জড়ো করা হয় নিহতদের লাশ। নিহতদের ১১ জন পুরুষ ও নয়জন নারী বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। নিহত নাগরিকদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরা হলেন- বারিধারাভিত্তিক ইতালীয় বায়িং হাউজ স্টুডিও টেক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাদিয়া বেনেদিত্তো, গুলশান ২ নম্বরের আরেক ইতালীয় বায়িং হাউজ ডেকাওয়ার্ল্ডের প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ভিনসেনজো দ আলেস্ত্রো, ক্লদিও মারিয়া দান্তোনা, সিমোনা মন্টি, মারিয়া রিবোলি, আডেলে পুগলিসি, ক্লদিও চাপেলি, ক্রিস্টিয়ান রোসিস ও মারকো তোনডাট।
শনিবার ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলোনিও ঢাকায় হামলায় তাদের নয় নাগরিক নিহত এবং একজন নিখোঁজ থাকার খবর জানিয়েছেন। তাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্সেরএক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত নয়জনকে (ইতালীয়) আমরা চিহ্নিত করেছি। আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন, তিনি লুকিয়ে থাকতে পারেন বা আহতদের মধ্যে থাকতে পারেন আমরা তার খোঁজ করছি।
নিহত ছয় জাপানি হলেন- তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকো। নিহত ভারতীয় নাগরিক হলেন তারিশা জেইন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও ঢাকার হামলায় ভারতীয় এই তরুণীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
কালের কন্ঠ