মোহাম্মদ সেলিম, ৭ জুলাই ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : এখনো আ’লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ পায়নি মিরকাদিম পৌর মেয়র মো: শহিদুল ইসলাম শাহিন। মিরকাদিম পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে শাহিন আ’লীগে যোগদান করে। আর এই কারণে এই নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থনে নৌকা প্রতীক নিয়ে শাহিন এখানে জয়লাভ করেন। শাহিন মুলত নৌকা প্রতীকের সমর্থনে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র।
কিন্তু আ’লীগের সদস্যপদ না পাওয়ায় তাকে আ’লীগ নেতা বা কর্মী বলা নিয়ে এখানে নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
আ’লীগের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে শাহিনের তেমন কোন দৌড়ঝাপ দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির পথ চলায় শাহিনের ধীরে চলার বিষয়ে মিরকাদিমে রহস্যের দানা বেঁধেছে।
শাহিনের অতীতের রাজনীতি নিয়ে অনেকেই নানা ধরণের কথাবার্তা বলছে। রহস্যে ঘেরা শাহিনের রাজনীতি নিয়ে মিরকাদিমে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
জয়লাভের পর শাহিনের সাথে মিরকাদিম পৌরসভায় আ’লীগের নেতাকর্মীর সাথে শাহিনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। শাহিনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্থানীয় আ’লীগের নেতা কর্মীদের তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।
শাহিনের নিজস্ব লোকজন তাকে ঘিরে রেখেছে বলে স্থানীয় আ’লীগের নেতারা অভিযোগ তুলেছে।
আ’লীগে যোগদানকে কেন্দ্র করে জেলা আ’লীগের দরবারে শাহিনকে ঘনঘন দেখা গেলেও বিজয়ের পর তাকে সেইভাবে আর দেখা যাচ্ছে না।
অনেকের অভিযোগ আ’লীগের টিকিট পেতে সেই সময় শাহিন জেলা দরবারে ঘনঘন যাতায়াত করেছেন। সেই পরিবেশ বর্তমানে আর নেই। তাই যাতায়াতে ভাটা পড়েছে।
শাহিন মুলত মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনের এমপি মৃণাল কান্তি দাসের পছন্দের লোক। মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারী লোকদের সাথে শাহিনের উঠাবসা থাকায় জেলা আ’লীগের রাজনীতিতে শাহিন সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বলে আ’লীগের অনেক নেতা মনে করছেন।
এক্ষেত্রে শাহিন সহসায় জেলা আ’লীগের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ নাও পেতে পারেন বলে অনেকেই ধারণা করছেন। বর্তমানে শাহিন আ’লীগের রাজনীতিতে পর্যবেক্ষণ তালিকায় রয়েছেন বলে আ’লীগের নেতা কর্মীরা মনে করছেন।
এ ব্যাপারে শাহিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে।