শেখ রাসেল ফখরুদ্দীন: ২০ জুলাই ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : আজ থেকে প্রায় ১০৩ বছর আগে ১৯১৩ সালের ২৮ মে (বাংলা ১৩১৯ সাল ১৪জ্যৈষ্ঠ) বিক্রমপুরের পাইকপাড়া গ্রামে লতিকা সেন জন্ম গ্রহণ করেন ।
তাঁর পিতার নাম নিবারণ চন্দ্র দাশ এবং মা কিরণ বালা দাশ। লতিকা নারী শিক্ষা মন্দির থেকে মেট্রিক পাশ করে ইডেন কলেজে ভর্তি হন । বড় ভাই অনিল কুমারের সাথে জড়িয়ে পড়েন শ্রীসংঘের সাথে ।
১৯৩২ সালের জুন মাসে বড় ভাই অনিলের পুলিশের বর্বর নির্যাতনে কারাগারে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু কয়েকদিন পর পুলিশের হাতে কনিষ্ঠ ভাই পরিমলেরও মৃত্যৃ ঘটে । পরপর পুলিশের হাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু ও জ্যেষ্ঠ ভাই সুনিলের দীর্ঘ বন্দীত্ব জীবন লতিতাকে এক অগ্নি পরিক্ষায় ফেলে দেয়।
১৯৩৫ সালে মায়ের সাথে লতিকা কলকাতা চলে যান । ১৯৩৬ সালে অবিভক্ত ভারত বর্ষের প্রথম নারী হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে আরো কতিপয় বিপ্লবী কে সাথে নিয়ে মন্দিরা নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন । ১৯৩৯ সালের ২০ অক্টোবর কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রণেন সেনের সাথে তার পরিণয় ঘটে ।
১৯৪১ সালের আগস্ট মাসে তিনি এক পুত্র সন্তানের মা হন । ১৯৪৮সালের ২৬ মার্চ সরকার কমিউনিস্ট পার্টিকে বেআইনী ঘোষণা করে হাজার হাজার নেতা কর্মীকে বন্দি করে বর্বর নির্যাতন চালায় । বন্দীদের মুক্তির জন্য ১৯৪৯ সালের ২৭ এপ্রিল মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির উদ্যেগে কলকাতার বৌবাজার স্ট্রীটে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হলে পুলিশ বিনা উস্কানীতে গুলি ছুড়ে। পুলিশের গুলিতে লতিকা সেন ও তার সহকারী চারজন মহিলা শহীদ হন ।
ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ লতিকা সেন আমাদের বিক্রমপুরের গর্ব আমাদের বিক্রমপুরের অহংকার ।