১০ আগস্ট ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) :
দূরে চলে গেছো বলে কী
দূরে চলে গেছো বলে কী
আকাশ দেখা ভুলে গেছো
নরম-নম্্র রৌদ্্ের সরাদিন ভিজে বেড়ানো আকাশ
ছিপছিপে বৃক্ষছায়া পড়া মেঠো পথ
ঋদ্ধ পায়ে হাঁটা গদ্য তোলা মনোজ্ঞ আচঁল।
দূরে চলে গেছো বলে কী
ভুলে গেছো মগডালে সদলে পাখিগুলোর
সযতেœ স্বপ্ন বোনা?
জোসনার আকাশে নিজস্ব চাঁদ
কথোপকথন অন্তলীণ বাসনা
অতঃপর পাছ-দুয়ারে দাঁড়ানো বকুল ভোর।
শিল্পীত শব্দেরা
জীর্ণ শহর!তার মধ্যপথের ওই অশ্বথ গুলি
শীতার্তদের মতন দাঁড়িয়ে আছে বিমর্ষ বেদনায়
কিংবা হে বসন্ত আবহপাখি-
সব বৃক্ষের ডালে ডালে জন্মাচ্ছে
লালবর্ণ পাতাদের ভাবলোক।
তুমি এসো,আমার প্রিয়তম শহরে
তাঁর সমস্ত আকাশ এক শিল্পীত ভ্রাম্যমান
অথচ নিরুৎসুক প্রেমিক!তারা জানে না
বিমর্ষ বেদনার প্রতিটি ডালপালা যে এক একটি শব্দ
প্রতিটি লালবর্ণ নতূন পাতারাও এক একটি শব্দ।
তুমি এসো,উৎসুক প্রেমিকের মতন প্রতিদিন
প্রেমিকার প্রথম চুম্বনে,শহরের অনাগত সংসারে
তোমাকে আহবান জানায়।
আমার অনুজ বুকের গোপন মিলন ছবি ও গান
তার চেতনা থেকে নতূন কথাস্বপ্ন নিয়ে বেরিয়ে আসছে
শিল্পীত শব্দেরা।
বৃষ্টির অর্ন্তবাস
বৃষ্টি!কী সে এক এক নারীবাদী ভাষা
বৃষ্টির অর্ন্তবাস জুড়ে
তার অন্তমাধুর্য আমাকে বারবার আপেক্ষিক করে তোলে!
ঝর,ধ্বংসবিহীন এই মৃদুজলের হাওয়া
যেনো এক পৌরাণিক কিঞ্চিনী ছড়িয়ে দেয়
চারিদিক,উস্মবিন্দু দু’হাত মুছে ফেলে শীতল স্্েরাতে-
অতঃপর স্বপ্নগুলো সাঁতার কাটে অবমুক্ত জলাশয়।
জানালার পাশে দেখি অসংখ্য বৃষ্টিকণা
জোনাকির মতোন হেলে থাকে
আলোর অন্ধকারে বৃক্ষ শাখায়
যদিও বা এই প্রান্তস্পর্শী পত্র বিন্যাসের ছায়াতলে
এসে দাঁড়াবে বর্ষাগম
তবু তার আগেই ভেসে উঠে মৃত্তিকার বুকে
আমাদের সমবর্ষণ রেখাচিত্র।
বেঁচে থাকি প্রত্যাশায়
কাশফুল শাড়ির আঁচল উড়িয়ে
তুমি হেঁটে যাও
শরৎ গোধূলির বিরান মাঠ জুড়ে
কখনো আবার বাঁধভাঙা ধলেশ্বরীর ঢেউ
হয়ে জলরেখা এঁকে যাও এই বুকে।
আমি কচুরী ফুলের পাপড়ির মত শব্দে
মোহনায় ভাসিয়ে দেই যোজন কাব্য
আনন্দে মুখরিত গাঙচিল ঠুঁকে নেয় সবটুকু
যখন হঠাৎ অযাচিত কণ্ঠ শাসন
তোমার বাড়ি ফেরার ঝড় তুলে।
তুমি পুতুল বউয়ের মতন
গোধূলীর সংসার ভেঙে চলে যাও
আর আমি ঘাসের বুকে রাতের কান্না
হয়ে বেঁচে থাকি ভোরের প্রত্যাশায়।
বিরহের নিস্তরণে
যখন বেদনাবিদ্ধ কাঁটাতার তুলে বুকে গুজে নিলে
আমার ক্লান্ত দেহখানি-তখন
নগর উদ্যানে উড়ছিলো এক উড়না
নীলিমা আকাশ
বিরহের নিস্তরণে রোদ্দুরের কারুময়তা ছড়িয়ে ছিলো
দৃশ্য দিগন্ত উদ্যান জুড়ে।
বসন্ত পাখিরা নবীন-পাতাপল্লবে আমাদের
নান্দনিক শব্দতত্ত্বে মুখরিত হয়ে উঠেছিলো
অফুরন্ত বাতাস কামনা নিলীন হয়ে নিয়ে গিয়েছিলো
নগ্নপায়ে অবসর পাতাদের বিছানায়।
আমাদের রোমাঞ্চিত স্বরকক্ষে তখনো
মর্মরিত পাতারাও খুঁজেছিলো ঈশ্বর!
এসো সমঝোতা করে নেই
এসো সমঝোতা কওে নেই।
পৃথিবীর গৃহতলে প্রচুন্ড হাওয়া বলে
মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তার বুকে বৃষ্টি বরফ করে
জমিয়ে রাখে
তেমন এসো,যত অবহেলা,ঘৃণা আছে
বুকের পল্লিতেই জমিয়ে রাখি
ভালোবাসার রুমাল চুষে নেবে সব।
এসো সমঝোতা করে নেই
নতুন বউয়ের ঝলসানো যৌবনের মতোন রৌদ্র
শীতল ছায়া মাড়ানো অবসাদে
তেমন এসো,হূদয়ের দূরত্ব হতে সর্ম্পকের
ঘনীভূত করে নেই
নদীর গহীনে ভাঙনের যে জলস্্েরাত
তার বিপরীতে যে চরসংবৃত হয়ে ওঠে
যেখানে দরিদ্রপল্লীর মানুষের শ্রমে
জোসনা মাখা ফসলের দোলাদুলি
তেমন এসো,সকরুণ আতœশুদ্ধি হয়ে
ভালোবাসি দুজনে।
শূন্য ঘরবাড়ি
পুরাতন ঘরবাড়ি
কচি পাতার নরম ঠোঁটের মতোন
স্মৃতি জেগে উঠে এখনো
শিঁস দেয়া পাখি হূদয়ের জানালাতে
উন্মত্ত ব্যাকুল স্বরে গান তুলে
তুমি ছাড়া আমার শূন্য ঘরবাড়ি।
লেখক:প্রকাশক ও সম্পাদক,‘পটভূমি’ সাহিত্য শিল্প সাংস্কৃতি বিষয়ক পত্রিকা।