২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) : মুন্সিগঞ্জে কিশোরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বিচার নামে গ্রাম্য সালিশে বৈঠকে বেত্রাঘাত ও জরিমানা আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় শহরের উপকন্ঠ পঞ্চাসারের বাঘবাড়ীতে এই বিচার সালিশ অনুষ্ঠিত হয় বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিচারে পঞ্চসার ইউপি চেয়াম্যান গোলাম মোস্তফা ২৪ কিশোরকে জন প্রতি ৫০ হাজার টাকার পাশাপাশি ২০ টি করে বেত্রঘাতের আদেশ প্রদান করেন। এ ঘটনায় এখানে আলোচনার ঢেউ উঠেছে।
সালিশে উপস্থিত লোকজনদের সূত্রে জানা যায়, গত কোরবানী ঈদের দ্বিতীয়দিন বৃহস্পতিবার মুক্তারপুরের ২৫ বন্ধু মিলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার লক্ষে নৌ-ভ্রমনে ডহরী গৌরগঞ্জ খালের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা সুবচনীতে যায়।
সেখান থেকে ভ্রমনে যাওয়া আরাফাত হোসেন (১৬) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ২ দিন পরে শনিবার রাত ৯ টায় জেলার সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের লালনশাহ্ বটতলার পাশের ইছামতি নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরাফাতকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করে আসছিলো তার স্বজনরা। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ । এর পর তদন্ত রির্পোট আসার আগেই বৃহস্পতিবার ঘটনাটিকে গোপন ও হত্যার অভিযোগ এনে পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বিচার সালিশের নামে বিষয়টি মিমাংসা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হত্যার সাথে জড়িত ২৪ কিশোরকে জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা জরিমান ও ২০ টি করে বেত্রঘাতের আদেশ দেন। পরে ঐ ২৪ কিশোরকে এক এক করে সবাইকে বেত্রঘাত করা হয়।
কোন হত্যা মামলার ঘটনাকি কোন ইউপি চেয়ারম্যান বিচার করতে পারে কি? তাছাড়া আদায় কৃত অর্থ কোথায় গেল। এছাড়া কোন ব্যক্তিকে বেত্রঘাত করার কোন বিধান সরকার করেনি। এখানে ক্ষমতার অপব্যহার হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখবেন।