মোহাম্মদ সেলিম: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হচ্ছেন জননেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। অনেকে আবার তাকে এই জেলার লৌহমানব বলে ক্ষেতাব দিয়েছেন। নানাজনে নানানভাবে তাকে বিভিন্নভাবে পরিচয় ঘটিয়ে থাকেন।
তবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিচয় হচ্ছে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এই পরিচয়ে তিনি বিশ্ববাসির কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তার সেই পরিচয়ের অনেক অজানা কথা আমরা এই প্রজন্মের অনেকেই জানি না।
তার সেই অজানা রহস্যেময় জীবনের কথা আমরা পাঠকের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার প্রয়াসে আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট সোহানা তাহমিনা আমাদের এই জনপ্রিয় নেতাকে নিয়ে “মুন্সিগঞ্জের লৌহমানব-বঙ্গবন্ধুর মহিউদ্দিন” শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। এটি লেখিকা একটি সাহসী কাজ করেছেন।
নেতার আশ পাশে অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে বইয়ের ভাবনা আসলেই কেউ করে নাই। সেই দিক থেকে লেখিকাকে সকলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
তবে লেখিকার এই বইয়ের বেশিরভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে। সাধারণ পাঠকের কাছে তার বই একেবারেই নেই বলেই চলে।
সাধারণ পাঠকের চাহিদা পুরণে মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর উল্লেখযোগ্য রাজনীতি জীবনের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন আমাদের জনপ্রিয় নেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
বইয়ের বাইরেও তথ্য বহুল প্রতিবেদন আমরা পাঠকের কাছে নিয়মিত উপস্থাপন করার চেষ্ঠা করবো। এই প্রতিবেদনটি মুলত এডভোকেট সোহানা তাহমিনের। ধারাবাহিক অংশ হিসেবে আজ প্রকাশ করা হল:
শেখ কামালের কিছু তথ্য-বিমান বন্দরে শেখ কামাল
৬০’ দশকের জাতীয় পত্রিকা “ দৈনিক সংবাদ” এর সম্পাদক কলামিষ্ট তাঁর “দরবারে জহুর” নামের একটি উল্লেখযোগ্য কলাম ছিল। একদিন লেখক বিদেশ থেকে ফিরছিলেন। শেখ কামালের সাথে লেখকের বিমানবন্দরে দেখা হয়। শেখ কামাল লেখকের হাতে রাখা ব্যাগটি এগিয়ে দেয়ার জন্য নিতে গেলে লেখক তাতে বাঁধা দেন। কিন্তু শেখ কামাল লেখকের সেই বাঁধা উপেক্ষা করে ব্যাগটি জোর করে তার হাতে নিয়ে নেন। এরপর সেই ব্যাগটি শেখ কামাল বহন করে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন। এতে লেখক খুবই আশ্চর্য্য ও আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন। আর ভাবেন একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের এই আচরণে লেখক মুগ্ধ হয়ে উঠেন। লেখকের মত এত জ্ঞানী লোক শেখ কামালের আচরণে মুগ্ধ হয়ে পরবর্তীতে সে ঘটনার সম্মানের কথাটি তাঁর বিখ্যাত কলামে “দরবারে জহুর” এ সেই লেখা তুলে ধরেন।
শেখ কামালের চাকরির বেতন
শেখ কামাল যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে আর্মিতে যোগ দেন। ক্যাপ্টেন পদরত অবস্থায় ইস্তফা দেন, শেখ কামালের চাকরি থাকাকালীন সময় শেখ কামাল বেতনের যে টাকা পেতো তা পুরোটাই বঙ্গবন্ধুর হাতে তুলে দিতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ কামালের বেতনের পুরো টাকা অফিসে যাওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে গাড়ি থামিয়ে গরীব দু:খীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। আমাদের নেতা শেখ কামালের চারিত্রিক গুনাবলী দেখে অবাক হতেন।
শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনার সাথে নেতার সর্ম্পক
নেতা সব সময় বলতেন শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা তাঁদের আচরণে বুঝা যেতনা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সন্তান। তাদের কোন অহংকার ছিলনা। অন্যান্য মানুষের মতো তারাও খুব সাধারণ ছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে লেকের পাড়ে নেতৃস্থানীয় নেতাদের সাথে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কথা বলছিল, এমন সময় একটা বাচ্চা হঠাৎ করে তাদের মাঝখানে ডুকে পরে। তাৎখানিক ভাবে নেতা বাচ্চাটিকে ধরে ফেলে, এতে বাচ্চাটি ব্যাথা অনুভব করে। বাচ্চাটিকে ধরার সময় ওফ করে শব্দ করে উঠে। ধরা পরার পর দেখা গেল বাচ্চাটি আর কেউ নয় বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর অতি প্রিয় ছিল শেখ রাসেল। এই ঘটনায় রাসেল যে ব্যাথা পেলো এতে বঙ্গবন্ধু নেতাকে কিছুই বললেন না। এতে নেতা নিজেই লজ্জিত হলেন। এতে মনে হয়, দায়িত্ববোধে নেতা সব সময় সজাগ ছিলেন। এই জন্য বঙ্গবন্ধু নেতার উপর সেদিন কোন রাগ করেননি।