চাঁদাবাজ দুর্নীতির সাথে জড়িত বিএনপি ও জামাত শিবিরের উত্তরসূরিরা সেরা পদকে ভূষিত জেলা প্রশাসনের সম্মাননা পদক নিয়ে বির্তকের ঝড় এই শিরোনামে সংবাদটি মুন্সিগঞ্জের সবার্ধিক প্রচারিত গণ মানুষের পত্রিকা বিক্রমপুর সংবাদ এ ২৬ মার্চ ২০১৫ সালে প্রকাশিত। সেই সময় জেলা প্রশাসক এ সংবাদে ক্ষুব্দ হন। ক্ষুব্দের প্রতিক্রিয়া হিসেবে জেলা প্রশাসক বিক্রমপুর সংবাদসহ ৮টি পত্রিকার ছাড়পত্র বাতিল। আজ সেই বির্তকিত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এই জেলা প্রশাসক মুন্সিগঞ্জে জামায়াত শিবির ও বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। এই সংবাদসহ বিভিন্ন সময় যাদের তিনি তার দফতর থেকে সম্মাননা দিয়েছেন। তাদের বেশির ভাগ ঐ ঘরনার লোকই। সঠিক তদন্ত হলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। আরেক বার পাঠককে মনে করিয়ে দিতে সেই আলোচিত সংবাদটি পুন: প্রকাশ করা হলো। এর পরে পাবেন সেই আলোচিত সংবাদ “রাজাকারের বাড়িতে ভূমি প্রতি মন্ত্রী”
মোহাম্মদ সেলিম :৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : জেলা প্রশাসনের সম্মাননা পদক নিয়ে মুন্সীগঞ্জে বির্তকের ঝড় বইছে। এ বিষয়ে নির্বাচন জুরিবোর্ড জেলা প্রশাসনকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়ভিত্তিক নির্বাচনে নির্বাচন মন্ডলীর নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেকেই কথা বলছে। চুলচেরা বিশ্লেষণ না করে এই সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়নি বলে অনেকেই মনে করছে।
পদক নির্বাচন মন্ডলী কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভবিষতে তাদেরকে যেন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেন আর না আনা হয় সেই বিষয়ে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। প্রভাবিত জুরিবোর্ডের কারণে জামাতের অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক এবার সেরা ইউপি চেয়ারম্যানের পুরস্কার পেয়েছেন। বিএনপি’র পদ পদবীধারী নেতার উত্তরসুরি হিসেবে ছেলে সেরা ইউপি চেয়ারম্যানের পদক পেয়েছেন। প্রকৃত কৃষক না হয়েও কৃষকের সেরা পুরস্কার জিতে নিয়েছেন দু’জন। এরমধ্যে আমির হোসেন মুন্সীও রয়েছেন। তিনি কোথায় কিভাবে কৃষি কাজে জড়িত ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে! তবে শিল্পপতি হিসেবে তাকে এই পদক দিলে কোন কথা উঠতো না। চাটুকাররা এই পদককে তাকে মনোনীত করে তাকে ও প্রশাসনকে বিব্রত অবস্থায় ফেলেছেন। এদিকে সিরাজদিখানে শিবিরের সমর্থক সৈয়দ মাহমুদ হাসান মুকুটকে এবার কৃষক হিসেবে জেলা সম্মাননার জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সেও সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত নয়। তা হলে সে কিভাবে এই পদককের সাথে জড়িত হলো। প্রশ্ন উঠেছে সকলের মনে। তাছাড়া সে শিবিরের একজন কট্টর সমর্থক। যখন যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয় তখন সে ফেসবুকে সরকার বিরোধী নানা মন্তব্য লিখে আলোচনার টেবিলে ঝড় তুলেন। সেই বিতর্কিত ব্যক্তিকে দেয়া হলো কিনা রাষ্ট্রের সেরা কৃষক পদক। আসলে আমরা কোথায় আছি। প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে বসে আছে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের লোক। জরুরীভাবে প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তারা দু’জন কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে না। তবে বিষয়ভিত্তিক পদক কেন দেয়া হলো। এই পদক পাওয়ার মাপকাঠি আসলে কি? নানাভাবে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত এস আই আবু তাহের। তার বিষয়ে ইতোমধ্যে চাঁদাবাজির ঘটনায় দৈনিক জনকন্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অথচ তিনি পুলিশ বিভাগ থেকে মনোনীত সেরা পুলিশের পুরস্কার পেয়েছেন। তার এই পুরস্কার পাওয়াকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তার বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জে প্রতিদিন চাঁদাবাজির নানা ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে। বির্তকিত এ ব্যক্তিকে পুলিশ বিভাগ মনোনীত না করে ক্লিন ইমেজের অন্য কাউকে মনোনীত করে এ বির্তক সহজেই এড়ানো যেতো। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় বিএনপি সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেই সময় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন ডা: এহসানুল করিম। বিএনপির সমর্থনে বিএমএ’র মুন্সীগঞ্জ জেলার কোষাধক্ষ্যের দায়িত্ব পালন করেন ডা: এহসানুল করিম। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে তিনি জার্সি পরিবর্তন করে আ’লীগ সমর্থক শিবিরে প্রবেশ করেছেন। রাজনীতির দিক থেকে বিতর্কিত এ ব্যক্তিকে চিকিৎসক হিসেবে পুরস্কার দিয়ে সমলোচনার ঝড় তুলেছে প্রশাসন। স্থানীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় মাটি ও মানুষের কাছে তার কোন চিকিৎসা আজো পৌঁছেনি। বরং প্রশাসনের খুঁটির জোড়ে এ সরকারের সময় প্রমোশন ভাগিয়েছেন তিনি। আর থেকে গেছেন এখানেই। সরকারি বিধি অনুসারে একই স্টেশনে বেশিদিন থাকার বিধান নেই। তবে তিনি আছেন বহাল তবিয়তে। এখানে রয়েছে তার জন্য মধুর হাড়ি। তাই এখানটা তিনি আর ছাড়তে পারছেন না। পদক প্রাপ্তির তালিকায় তার যে কুষ্ঠি প্রকাশ করা হয়েছে তা রাষ্ট্রের কাজের অংশ। এর বাইরে সাধারণ মানুষের বিষয়ে কোনো কথা নেই। প্রাথমিক বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার দেয়া হয়েছে মহিউদ্দিন আহমেদকে। এই পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার বিদ্যালয়ের আশেপাশে অনেক কিন্ডার গার্টেন। সেই গার্টেনের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র সমাপনী পরীক্ষা দেয় তার বিদ্যালয় থেকে। আর এ কারণে এ বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের তালিকায় চলে আসে। এটি এক ধরণের প্রতারণা। এ বিষয়ে প্রশাসন থেকে তদন্ত হওয়া উচিৎ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়েছে সিরাজদিখানের মো: বেলায়েত হোসেনকে। অর্থ তসরুপসহ নানা দুর্নীতির সাথে তিনি জড়িত। বিতর্কিত এ ব্যক্তি সেরা পুরস্কার পাওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। এসব ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়ার আগে জেলা প্রশাসনের চোখ-কান খোলা রাখা দরকার ছিল বলে অনেকেই দাবী করছেন। শ্রীনগর উপজেলা থেকে কোলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান তৈয়ব আল মামুন সেরা পুরস্কার পেয়েছেন। তার পিতা মমিন আলী শ্রীনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি। সে টাকার কুমির। রাজনীতির জাতপাত ভুলে টাকার কুমিরের উত্তরসুরিকে দেয়া হলো সেরা পুরস্কার। এ মমিন আলীরাই আড়িয়ল বিলে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু এয়ারপোর্ট হতে দেয়নি। তাদের আন্দোলনের কারণে সেখানে একজন পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থের কারণে এ জনপদের মানুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামের একটি এয়ারপোর্টের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। টাকার কুমিরের কাছে জুরিবোর্ড সেই কথা ভুলে গেছেন বলে মনে হয়। তবে অনেকের অভিযোগ জুরিবোর্ড তাদের কাছ থেকে বিশেষ কোন সুবিধা নিয়ে এই নামের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের সাথে প্রশাসনের এই মাখামাখি অন্যে কিছুর ইঙ্গিত বহন করে বলে অনেকেই মনে করছেন। এ উপজেলায় আর কি কোন চেয়ারম্যান পাওয়া যায়নি। এই চেয়ারম্যান এবারই প্রথম চেয়ারম্যান। এবং বয়সও তার কম। কি এমন তকমা পেলো তাকেই সেরা পুরস্কার দিতে হবে। এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। জামাতের অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও দিগন্ত টিভির পরিচালক রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুস্তিকে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় সেরা ইউপি চেয়ারম্যান পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই পুরস্কার নিয়ে শহরে কথার ঝড় বইছে। জামাতের সাথে কানেকশন থাকা এই ব্যক্তিকে সেরা পুরস্কার দিয়ে প্রশাসন আসলে কার লোক তা পরিস্কার হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসনের ভেতর বসে আছে জামাত ও বিএনপির ভুত। এই ভুত এই কল কাঠি নাড়ছে বলে আ’লীগ নেতারা অভিযোগ করেছে।
আলোচনার ঝড় বইছে রতœগর্ভা মায়ের পদক নিয়ে। বেশি সন্তানের জননী এ পদককে ভূষিত হয়েছেন। এর ফলে পদকধারী প্রতিষ্ঠান বেশি সন্তান জন্ম দিতে নারীদের উৎসাহিত করছে বলে কথা উঠেছে। যা সরকারের পরিবার পরিকল্পনার বাইরে। যারা পরিবার পরিবকল্পনার মাধ্যমে এক বা দু’টি সন্তান নিয়েছে তারা মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় এ পদক পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তা হলে কি পরিবার পরিকল্পনার আওতায় নারীরা ভুল পথে চলছেন। প্রশাসন বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে অনেকেই দাবী করেছেন। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রতœগর্ভার পদকটি রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যিনি পদক পেয়েছেন তার বড় মেয়ের জামাই মুন্সীগঞ্জ সদর থানা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। এই প্রতিযোগিতায় তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানকারী মা’রা রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। বেশি সন্তান জন্ম দিলে তাদের মানুষ করতে বেশি কষ্ট করতে হবে এটিই নিয়ম। কুষ্ঠির বিবরণে এটিই যদি রতœগর্ভা মা হওয়ার মাপকাঠি হয় তবে আসলেই আমাদের কিছুই বলার নেই। মাধ্যমিক শিক্ষক হিসেবে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় শিক্ষক হিসেবে পদক পেয়েছেন মো: মহিউদ্দিন আল মামুন। তিনি বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। তাকে নিয়েও বির্তকের ঝড় বইছে।