মোহাম্মদ সেলিম: ৩ অক্টোবর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম) : মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হচ্ছেন জননেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। অনেকে আবার তাকে এই জেলার লৌহমানব বলে ক্ষেতাব দিয়েছেন। নানাজনে নানানভাবে তাকে বিভিন্নভাবে পরিচয় ঘটিয়ে থাকেন।
তবে তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিচয় হচ্ছে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। এই পরিচয়ে তিনি বিশ্ববাসির কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তার সেই পরিচয়ের অনেক অজানা কথা আমরা এই প্রজন্মের অনেকেই জানি না।
তার সেই অজানা রহস্যেময় জীবনের কথা আমরা পাঠকের কাছে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার প্রয়াসে আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এডভোকেট সোহানা তাহমিনা আমাদের এই জনপ্রিয় নেতাকে নিয়ে “মুন্সিগঞ্জের লৌহমানব-বঙ্গবন্ধুর মহিউদ্দিন” শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। এটি লেখিকা একটি সাহসী কাজ করেছেন।
নেতার আশ পাশে অনেকেই রয়েছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে বইয়ের ভাবনা আসলেই কেউ করে নাই। সেই দিক থেকে লেখিকাকে সকলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
তবে লেখিকার এই বইয়ের বেশিরভাগ বই বিতরণ করা হয়েছে আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে। সাধারণ পাঠকের কাছে তার বই একেবারেই নেই বলেই চলে।
সাধারণ পাঠকের চাহিদা পুরণে মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর উল্লেখযোগ্য রাজনীতি জীবনের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অংশের সাথে জড়িয়ে রয়েছেন আমাদের জনপ্রিয় নেতা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
বইয়ের বাইরেও তথ্য বহুল প্রতিবেদন আমরা পাঠকের কাছে নিয়মিত উপস্থাপন করার চেষ্ঠা করবো। এই প্রতিবেদনটি মুলত এডভোকেট সোহানা তাহমিনের। ধারাবাহিক অংশ হিসেবে আজ প্রকাশ করা হল:
বঙ্গবন্ধু জানতেন মোস্তাক বেঈমান
গণভবনের পূর্ব পাশে বড় ধরণের লেক তৈরী করা হয়েছে। সেখানে মাছের চাষ করা হত। একদিন বিকাল বেলায় বঙ্গবন্ধু লেকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। মাছ গুলো ঘাটলার সামনে পানিতে খেলতে লাগল। বঙ্গবন্ধু মনযোগ সহকারে মাছগুলোর খেলা দেখছিলেন। হঠাৎ করে মাছগুলো ডুবদিয়ে ছিন করে চলে গেল। বঙ্গবন্ধু এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলেন। তাঁর মনে হলো কেউ ঢিল মেরেছে। বঙ্গবন্ধু ডানে তাঁকিয়ে দেখলেন মোস্তাক তাঁর কিনারে দাঁড়ানো। বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে দেখে হেসে উঠলেন। মোস্তাককে লক্ষ্য করে তিনি বললেন “আরে কুটি মিয়া, মাছও তোকে চেনে”। বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে কুটি মিয়া বলে ডাকতেন। মোস্তাক যে বেঈমান বঙ্গবন্ধুর কথাতে এটাই প্রমাণ হয়। নেতা মাঝে মাঝে বলে উঠেন মোস্তাক বেঈমান। এটা বঙ্গবন্ধু আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন। তাহলে তিনি কেন সর্তক হলেন না? কেন মোস্তাককে মন্ত্রী সভায় বসালেন? নেতা এই প্রশ্নের উত্তর এখনো খুঁজে পাননি।