নিউইয়র্ক থেকে এনা: ৩ অক্টোবর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) : বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে জঙ্গীবাদ। হলিআর্টেজেনের জঙ্গী হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করেছেন। তার সাহসী এবং কঠোর পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল হয়েছে। এ কাজে আমাদের আইন- শৃঙ্খলা বাহিনী দৃঢ়তার সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই।
তাদের মূল উৎপাটন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে যে জঙ্গীবাদের স্থান নেই সেই বিষয়টি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের প্রবাসী বাংলাদেশীরাই বুঝাতে পারেন। গত ২ অক্টোবর দুপুরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সংগঠন আমেরিকান বাংলাদেশী বিজনেস এলায়েন্সের এক মত বিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের কনভেনর সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং আশরাফুল ইসলাম বুলবুলের পরিচালনায় সেমিনারে স্পেশাল গেস্ট ছিলেন কংগ্রেসওম্যান এবং বাংলাদেশ ককাসের সদস্য গ্রেস মেং। কি নোট স্পীকার ছিলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল কবির।
এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সেমিনারের চেয়ারম্যান সৈয়দ রহমান মান্নান, চীপ কো-অডিনেটর ডা. মাসুদুল হাসান, সদস্য সচিব বেলাল চৌধুরী, কো- কনভেনর আব্দুস শহীদ, মোস্তফা কামাল, শাহ নেওয়াজ, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, কো- চেয়ারম্যান এটর্নী মঈন চৌধুরী।
প্রধান অতিথি আবুল মাল আব্দুল মুহিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমেরিকা আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করে। কিন্তু আমাদের জিএসপি সুবিধা দেয় না। কেন আমাদের এই শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি আজকে আগামীর কথা বলতে চাই। গত ৮ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি উর্ধ্বগতিতে রয়েছে। আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার কারণেই এই সুফল পাচ্ছি।
বিশ্বের মধ্যে আমরা প্রবৃদ্ধিতে মাইল ফলক স্পর্শ করেছি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭% অতিক্রম করেছে। পৃথিবীতে তিন দেশ এই মাইল ফলক স্পর্শ করেছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দুটো দেশ হচ্ছে ভারত ও চীন। আমাদের কাজ হচ্ছে এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা। কিন্তু আমাদের প্রতিবদ্ধকতা হচ্ছে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ। হলিআর্টিজেনের জঙ্গী হামলা ঘটনায় আমাদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। বিদেশী বিনিযোগকারীরা চিন্তিত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে সেটা মোকাবিলা করেছেন।
তার সাহসী এবং কঠোর ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ জঙ্গীবাদ নিমূল হয়েছে। তাদের মূল উৎপাটন করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আইন শঙ্খলা বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমি আজকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান নেই।
এই কথাটি প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিদেশে বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে পারেন। এই সন্দেহ দূর করতে না পারলে উন্নয়ন ব্যাহত হতে পারে। আমরা ঋণগ্রস্ত দেশ হয়ে যেতে পারি। সুতরাং এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যুব শক্তিকে কাজে লাগতে হবে। তারা যেন আমাদের হেডেক হয়ে না দাঁড়ায়, উগ্র পথে চলে না যায়।
এ জন্য বাবা- মাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগের আহবান জানান এবং প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ আমাদের সরকার করবে না বলেও জানান।
কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, বাংলাদেশের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক আরো সৃদৃঢ় হচ্ছে। আগামীতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই।
আহমেদুল কবীর তার কী নোট স্পীসে বাংলাদেশের গত ৭ বছরের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন এবং কিছু সমস্যার কথাও জানান।