৬ অক্টোবর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) : ঢাকা-সিরাজদিখান সড়কে সিলিন্ডারের পাইপ লীগ হওয়ার কারণে বাসে আগুন লেগে ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টায় সিরাজদিখানের ইমামগঞ্জ ‘স’ মিলস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাসের যাত্রীরা বলেন, সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল থেকে সিরাজদিখান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিরাজদিখান কুসুমপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। ইমামগঞ্জ ‘স’ মিলস এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে বাসের গ্যাস সিলিন্ডার পাইপলীগ হওয়ার কারণে শো-শো শব্দ করে বাসের সামনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এতে বাসে থাকা যাত্রীরা হৈ চৈ শুরু করলে ড্রাইভার বাস থামিয়ে পালিয়ে যায় । মুর্হুূতের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বাস থেকে তড়িঘড়ি করে নামতে যেয়ে আহত হন বাসে থাকা প্রায় সকল যাত্রী। এর মধ্যে তাড়াহুড়ো করে বাসের জানালা ও গেইট দিয়ে নামতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন ২০ জন।
সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের কাজীর বাগ গ্রামের নাজির হোসেন(৬৮) নামের এক যাত্রী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি বাসের সামনের অংশে ছিল। হঠাৎ শো-শো শব্দ করার পর সামনের অংশ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। নিমতলা থেকে সিরাজদিখানে বাসে করে আসার আরেক আহত বাস যাত্রী রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের তোফায়েল হোসেন বলেন, বাসটি পুরোনো। গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ লীগ করে বিস্ফোরণে বাসটিতে আগুন ধরে বলে আমরা মনে করছি। এতে পুরো বাসটি আগুনে পুড়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, বাসটিতে আগুন ধরলে দের ঘণ্টার পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কোন চেষ্টা করা হয়নি কারণ যদি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় কোন ফায়ার সার্ভিস বাসটির আগুন নিভাতে আসেনি। এই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় বাসটি পুরাপুরি পুড়ে যায়। এই উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস খুব দরকার।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, আহত ব্যক্তিদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কয়েকজনকে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানায় কোন মামলা হয়নি। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ সময় সডকে প্রায় আধা ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সডকের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় গেলে রাস্তার একপাশে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জনকন্ঠ