১৮ অক্টোবর ২০১৬ (মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডেস্ক) : কোন অনুমতি ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ-নারায়নগঞ্জ এ রাত্রিকালিন লঞ্চ চলাচল করছে। এ বিষয়টি রাস্ট্রযন্ত্রের দেখার কেউ নেই। এ কারণে এই পথের রাত্রিকালিন লঞ্চ চলাচলে লঞ্চ মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠে। ক্ষমতার দাপটে লঞ্চ মালিকরা অবৈধভাবে এ পথে রাত্রিকালিন লঞ্চ চালাচ্ছে। এ ফলে এখানে যাত্রিরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। যে কোন সময় এই পথে জীবনহানীর আশংকা রয়েছে।
রাত্রিকালিন লঞ্চ চালানোর সময় সার্চ লাইট থাকার বিধান রয়েছে। এখানকার লঞ্চগুলোতে তা নেই। ফলে রাত্রে নারায়নগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে আসার পথে লঞ্চের মাথায় একজন লোক দাঁড়িয়ে থাকে। তার চিৎকারে চিৎকারে তখন লঞ্চ চলে। এখানকার এই দৃশ্য নিত্যদিনের। ধলেশ্বরীর ওপর দিয়ে বরিশালগামী লঞ্চগুলো যখন মুন্সিগঞ্জ অতিক্রম করে তখন ভয়ে ও দুর্ঘটনার আশংকায় এই ছোট লঞ্চগুলো নদীর মাঝেই থামিয়ে প্রতিরাতেই। এসব নানা ঘটনায় এখানে যাত্রিরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এ পথে যাতায়াত করছে।
লঞ্চে নেভিগেশন সামনে তিনটে আর পিছনে একটি থাকার বিধান থাকলেও বেশির লঞ্চে তা নেই। প্রকারভেদে লঞ্চে ৬জন করে স্টাফ থাকার কথা। কিন্তু লঞ্চ মালিকরা পয়সা বাঁচাতে ২জন দিয়েই এ কাজ সেরে নিচ্ছেন। যে লঞ্চের টিকিট কাটছেন সেই ব্যক্তিই আবার লঞ্চের দড়ি বাধছেন। এখানে তুগলুগি কাজ কারবার চলছে।
যাত্রি অনুপাতে লাইফ বয়া থাকার কথা থাকলেও লঞ্চে তা থাকছে না। সীমিত আকারে কিছু বয়া একখানেই জড়ো করে রাখা হচ্ছে। এগুলো মুলত যাত্রিরা যেখানে বসে তার ওপরে মাচা করে রাখার নিয়ম। কারণ যাতে যাত্রিরা বিপদকালীন সময় সেই বয়া ব্যবহার করতে পারে। প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স থাকারও নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আপনি এর কোন বক্স কোন লঞ্চেই পাবেন। অগ্নি নির্বাপন যন্ত্রও থাকার কথা। কিন্তু এখানে তাও নেই।
রাতে মদনগঞ্জ লঞ্চ থামার নিয়ম নেই। কিন্তু যাত্রিরা রাতে হাত দিয়ে ইশারা দিলে সেখানে লঞ্চ থামছে। এর ফলে রাতে লঞ্চে ডাকাতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জবাসী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Home
স্থানীয় সংবাদ
মুন্সিগঞ্জ সদর ঝুঁকি নিয়ে মুন্সিগঞ্জ-নারায়নগঞ্জে রাত্রিকালিন লঞ্চ চলছে: জীবনহানীর আশংকা