এম.আর রয়েল , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম: শ্রীনগরে গত অর্থ বছরে কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয়েছিল এডিবির ৩৫ লাখ টাকা। বিষয়টি জানাজানি হলে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তড়িঘরি করে অবৈধ ভাবে সরকারি খালের মাটি ভেকু দিয়ে লুট করে রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটির মাটি ভড়াটের কাজ আরো ৩ দিন আগে শেষ হয়ে গেছে। তবে এখনো কেন খালের মাটি লুট হচ্ছে তা তার জানা নেই। কিন্তু এডিবি রাস্তার জন্য সরকারি খালের মাটি কাটার বিধান রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানায়, এডিবির রাস্তাটির অবস্থান খালের আশে পাশে না হলেও কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল মেম্বারের নেতৃত্বে গত কয়েক দিনে পদ্মা নদীর সাথে সংযুক্ত শ্রীনগর-গোয়ালীমান্দ্রা খালের দক্ষিন পাইকসা এলাকায় নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে তা মাহিন্দ্র দিয়ে রাস্তাটি ভড়াট শুরু করে।
অথচ রাস্তাটির মাটি পাশ থেকে সংগ্রহ করার কথা ছিল। কাজের তত্তাবধানের দায়িত্ব উপসহকারী প্রকৌশলী শরিফুল ইসলামের থাকলেও এ অবৈধ কাজে তিনি কোন বাধা দেননি।
ভেকু দিয়ে যত্রতত্র খালের মাটি কাটার কারনে খালের দুই পারের রাস্তা হুমকির মুখে পরেছে। এর ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে খালের দুই পাড়েই ভাঙ্গন দেখা দিবে।
এব্যাপারে সোহেল মেম্বার জানান, কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নেছরউল্লাহ সুজনের মাধ্যমে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে মাটি কাটার অনুমুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, সরকারী খালের মাটিকাটার অনুমুতির বিষয়টি বানোয়াট। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
গত অর্থ বছরে জুন মাসে এডিবির বরাদ্দ থেকে উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিন পাইকসা বটতলা হতে মাদ্রাসা ভায়া স্কুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তাটির কাজের জন্য ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা তুলে নেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাইয়ান এন্টারপ্রাইজ।
উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সহায়তায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে আশ্চর্যজনক ভাবে এডিবির বরাদ্দ তুলে নিলেও তারা ৭ মাসে কোন কাজ করেনি। কাজ না করে গত অর্থ বছরের এডিবির টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিভাবে তুলে নিল তা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আঃ মান্নান বিষয়টি এড়িয়ে যান।