শনিবার, ২৪ মার্চ ২০১৮, মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম: টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড়ে টানা মোটর সাইকেলের জমজমাট ব্যবসা চলছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে দিনরাত এখানে টানা মোটর সাইকেল চলাচল করলেও পুলিশ তেমনটা কিছু বলে না বলে এখানে এই ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন এখানে শতাধিক এই টানা মোটর সাইকেল চলাচল করছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে এখানে প্রভাবশালীদের সন্তানরা এই টানা মোটর সাইকেল চালাচ্ছে। নিজেরা যেমন এই টানা মোটর সাইকেল চালিয়ে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তেমন এখানে এই টানা মোটর সাইকেল দিয়ে মানুষ পারাপারে ব্যবসাও করা হচ্ছে।
দীঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের সামনেই টানা মোটর সাইকেল পার্ক করতে দেখা যাচ্ছে।
যাদের দায়িত্ব এদের ধরার, তারা রহস্যজনকভারে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে।
দীঘিরপাড়টা হচ্ছে পদ্মা নদীর এপারে। ওপারের দক্ষিণদিকে ভেঙ্গে যাওয়া দীঘিরপাড় আবার নতুন করে চর জেগে উঠেছে। গড়ে উঠেছে জনবসতি। কিন্তু বিশাল এই চরে চলাচলের জন্য কোন পরিবহন ব্যবস্থা নেই। এই পথ দিয়ে খুবই সহজে শরিয়তপুরে যাতায়াত করা যায়। দুই জেলার পদ্মার পাড়ের বাসিন্দাররা এই পথ ধরেই যাতায়াত করেন। তাই এখানে অন্য পরিবহনের পরিবর্তে গড়ে উঠেছে মোটর সাইকেল চড়ে নির্ধারিত স্থানে যাওয়া। বেশি অর্থ দিয়ে এখান থেকে অন্যত্র যাওয়া যায় খুব সহজেই। এখানে এই কাজে শতাধিক মোটর সাইকেল পারাপারের কাজে রয়েছে। তবে এইসব মোটর সাইকেলের কোন কাগজপত্র নেই। এগুলো টানা মোটর সাইকেল হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। টানা মোটর সাইকেল হচ্ছে ছিনতাই হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল। দেশের বিভিন্ন স্থানে যাদের মোটর সাইকেল চুরি বা ছিনতাই হয়ে যায়। সেইসব মোটর সাইকেল কম দামে বিক্রি হয়। অপরাধ জগতে এই ব্যবসার নাম হচ্ছে টানা মোটর সাইকেল। টানা মোটর সাইকেলে আবার অনেকেই অন্যের নাম প্লেট লাগিয়ে শহরময় চষে বেড়ায়। তবে পুলিশ সব খবরই রাখে। কিন্তু তাদেরকে ধরে না।
দীঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল বলেন, ইতোমধ্যে ২টি টানা মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে।