নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার গোয়ালঘুর্ন্নী গ্রামের রহিম মাদবরের ভাড়া বাড়িতে দুই শিশু বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়ে ছিল বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে। ঐ দুই শিশুসহ মোট ছয়জনকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। জানা যায়,
গোয়ালঘুর্ন্নীতে এক পরিবারের ছয় সদস্যকে জুসের সাথে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করা হয় বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই অচেতন অবস্থায় ৯ বছর এবং ১১ বছরের দুই বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দুবৃত্তরা। একাধিক সূত্রে মতে দাবি করা হচ্ছে তারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত বুধবার রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে অচেতনদের মধ্যে আলো বেগমের মেয়ে কাজল ১৪ বছরের,
ছেলে আলভী ৩ বছরের ও আলো বেগমের বড় বোন ফরিদা ৪৮ বছরের এবং তার দুই মেয়ে রিয়া মনি, ১১ বছরের, মীম ৯ বছরের অন্যদিকের আলো বেগম এবং তার স্বামী আলাল বহু বছর ধরে এখানে স্থানীয়ভাবে বসবাস করে আসছেন বলে জানা গেছে। সকালে আলো বেগমের বড় বোন এবং তার দুই মেয়ে রিয়া ১১ বছরের
ও মীম ৯ বছরের কে নিয়ে বরিশাল থেকে আলো বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসলে খালু আলালের সহযোগিতায় তার বন্ধু রতন জুসের সাথে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আলাল এবং রতন তারা দুই বন্ধু মিলে এলাকায় মাদক সেবন করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রতন আলালকে লোভ এবং প্রলোভন দেখিয়ে আলালের ভায়রার মেয়ে কে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই খবর পেয়ে মিরকাদিম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড জলিল কমিশনার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি এ বিষয়ে বলেন ঘটনাটি খুব জঘন্য।
জলিল কমিশনার আরো বলেন, মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিচুর রহমানকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের দেশের বাড়ি হচ্ছে বরিশালের স্বরূপকাঠির পশ্চিম সোহাগতলা বলে ভুক্তভোগীরা জানান।