মো: তুষার আহাম্মেদ: পদ্মা সেতুতে বসল ৩৮তম স্প্যান ‘ওয়ান-এ’। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৭০০ মিটার। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে লৌহজংয়ের মাওয়া প্রান্তে ১ ও ২ নম্বর পিয়ারে উপর বসানো হয় স্প্যানটি। পদ্মা সেতুতে আর মাত্র তিনটি স্প্যান বসানো বাকি রয়েছে যার দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, স্প্যানটি ১৬ নভেম্বর বসানোর পরিকল্পনা ছিলো। তবে নির্ধারিত পিয়ার দুটির একটি ডাঙ্গায় অপরটি নদীতে থাকায় ডেজিং করে পিয়ার দুটির মাঝের স্থানটি স্প্যানবাহী ক্রেনের চলাচলের উপযোগী করতে হয়। এরপর কারিগরি অন্যান্য বিষয় প্রস্তুত করতে আরো কয়েকদিন সময় লেগে যায়।
শনিবার সকাল ৯টায় মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়াইন-ই’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৩৮তম স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয় নির্দিষ্ট পিয়ার দুটির উদ্দেশ্যে। স্প্যানটি পৌছানোর পর সব প্রক্রিয়া শেষে দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়। এ মাসেই ১০ ও ১১ নং
পিয়ারে ৩৯ তম স্প্যান ‘টু-ডি’ বসানোর পরিকলাপনা রয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ডিসেম্বর মাসেই ১১ ও ১২ নং পিয়ারে ৪০ তম স্প্যান ‘টু-ই’ ও ১২ ও ১৩ নং পিয়ারে ৪১তম স্প্যান ‘ই-এফ’ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। স্প্যান গুলো মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালে খুলে দেয়া হবে।