করোনা প্রতিরোধে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মুন্সীগঞ্জে টিকা প্রদানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন ইতোপূর্বে উপজেলা পর্যায়ে ৩৪ জনকে ব্যক্তিকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় টিকাদান কর্মী ও ভলান্টিয়ার্সসহ ৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের অডিটিরিউয়ামে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরে করোনা রোগির প্রভাব বেশী থাকায় ডাক্তার, নার্স ও ভলান্টিয়ার্সসহ ১০টি টিম থাকবে এখানে। প্রত্যেক টিমে দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪জন ভলান্টিয়ার্স থাকবে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলা গুলোতে একইভাবে তিনটি করে টিম থাকবে। ১৫০ জনের উপরে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জেলাতে সবকিছু ঠিক থাকলে গুরুত্ব বিবেচনা করে সম্মুখসারীর যুদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা টিকা প্রদান শুরু হবে।
প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: দেবরাজ মালাকার ও জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: আতিকুর রহমান। সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ জানান, মুন্সীগঞ্জে ৪৮০০ ভায়াল (কাঁচের শিশি) করোনা প্রতিরোধ ভ্যাকসিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ভায়ালে ১ ডোজ করে ১০ জন ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া যাবে।
এরুপ ভাবে ৪৮ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজ হিসেবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। তবে গত পরশু মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে আরো একটি নির্দেশনা আসে মুন্সীগঞ্জ জেলায়। সেটি হচ্ছে ৪৮ হাজারের পরিবর্তে ২৪ হাজার মানুষকে দুই ডোজ দিয়ে সম্পূর্ণ টিকার কোর্স শেষ করার জন্য আদেশ প্রদান করা হয়েছে। দেশের সর্বত্রই এরুপ ভাবে প্রথম টিকা দেওয়ার ৪ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় টিকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার করা বাধ্যতামূলক জানান সিভিল সার্জন।