নিজস্ব প্রতিবেদক (রাজশাহী-রাব্বানী) :
রাজশাহীর পবা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সকলের সামনেই প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকসহ ভুক্তভোগীরা।
সাব-রেজিস্টারের নাম করে ঘুষ নেওয়া হয় সেখানে। এজলাস চলাকালে দরজার পাশে বসে অফিস পিয়ন আমিনুল ইসলাম প্রকাশ্যে ঘুষ নিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও চিত্র অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাজশাহীর সময়‘র কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। গতকাল বুধবার এই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
জানা গেছে, পিয়ন আমিনুল গোদাগাড়ী সাব-রেজিস্টার অফিসে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি পবা সাব-রেস্টিার অফিসেও দায়িত্ব পালন করেন। আর ইতোপূর্বে তিনি বাঘা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ছিলেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা কোন দলিল রেজিস্ট্রির জন্য পবা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে হয়রানির শেষ থাকে না। দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হবে না বলে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমরা তাদের কাছে জিম্মি। পিয়ন আমিনুল প্রকাশ্যে টিপসহি প্রতি ঘুষ নিচ্ছেন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
ভুক্তভোগীরা বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে এভাবে ঘুষ নেন একজন পিয়ন, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিয়ন আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা নেইনি। তার ঘুষ নেয়ার ঘটনাটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সাক্ষাতে কথা বলব। পরে আবার বলেন, চাইলে আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে গোদাগাড়ি সাবরেজিস্ট্রারের মুঠো ফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ঘুষ নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ভিডিওটা পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।