মো. নাজির হোসেন
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের চরকিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মো. সামসুদ্দিন (৮৩) ও তার স্ত্রী রেহানা (৬৩) গেলেন চিকিৎসা করাতে গেলেন নারায়ণগঞ্জে।
আর পরিশেষে বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে। সামসুদ্দিন চরকিশোরগঞ্জ এলাকার মৃত ফজিল মোহাম্মদের ছেলে। গত ৪ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে সাবিত আল-হাসান নামে লঞ্চ দূর্ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রী দুইজনই মারা যান।
এদিকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের চরকিশোরগঞ্জ গিয়ে দেখা গেছে, সামসুদ্দিন ও তার স্ত্রী রেহানা তখনো নিখোঁজ ছিল। তাদের দু’জনের সন্ধানে ছেলে ও মেয়েরা নদীর পাড় গেছেন। আত্নীয় স্বজনরা বাড়িতে আহাজারি করছেন।
নিহতের ছোট ছেলে দীন ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা (২৫) জানান, আমার শশুর ও শাশুড়ী গত রবিবার বিকাল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসার জন্য বাড়ি থেকে রওনা করেন।
এসময় শশুরের পড়নে ছিল সাদা পাঞ্জাবি ও শাশুড়ীর পড়নে ছিল কালো বোরকা। শশুর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরতেন। আমার শাশুড়ীর বাম হাতের কবজ্বির উপর ভাঙা ছিল ডাক্তার দেখাতে যান তারা।
তিনি আরও বলেন, আমার বড় ননাসের বাড়ী নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায়। ননাস ও তার স্বামী মনির হোসেন, আমার শশুর ও শাশুড়ীকে ডাক্তার দেখিয়ে এ লঞ্চে উঠিয়ে যান। লঞ্চ দূর্ঘটনার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। পরে জানান,
গতকাল সোমবার দুপুরে লঞ্চ উদ্ধারের পর তাদের দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। তবে ১৮ ঘন্টা পরে। লঞ্চ উদ্ধারের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এই ছোট নদী থেকে উদ্ধারের এতো সময় লাগে নাকি!