নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র হাজী আব্দুস সালামের বাসভবনে তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মেয়রের স্ত্রী কানন বেগম ও ৪জন কাউন্সিলরসহ ১৩ জন আহত হয়েছে।
এর মধ্যে মেয়রের স্ত্রী কানন বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরের ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা সবচেয়ে আশংকাজনক।
বিস্ফোরণে আহতরা হচ্ছেন ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রহিম বাদশা, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন (৪৫), ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল দ্বীন ইসলাম (৪৫), ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল সোহেল মিয়া
(৫২)। মেয়রের স্ত্রী কানন বেগম (৪০), মো: মোশারফ হোসেন (৬২), মনির হোসেন (৫০), শ্যামল দাস (৪৫), মো: ইদ্রিস আলী (৫০), মঈনদ্দিন আলী (৪৪) ,কালু (৪০), পান্না (৫০), মো: তাজুল (২৫)।
আহতদের মধ্যে ১২জনকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ১১জনকে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত ৮নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রহিম বাদশাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার নৈশ প্রহরী পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীনের বাসায় নিয়ে যাওয়ার সময় কাউন্সিলর দ্বীন ইসলাম তা দেখতে পায়। পরে তাকে পথিমধ্যে থেকে আটক করে বর্তমান মেয়র সালামের বাসায় নিয়ে আসে নৈশ প্রহরীকে।
পরবর্তীতে এ বিষয়ে মিটিং চলছিল মেয়রের বাসায়। নৈশ প্রহরী কেন অনুমতি ছাড়া এসব ফাইলপত্র সাবেক মেয়রের বাসায় নিয়ে যাচ্ছিল তা মেয়রের বাসার তৃতীয়তলায় আলাপ চারিতা চলছিল অন্যান্য কাউন্সিলদের নিয়ে।
এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে কক্ষের ভেতরে আগুন দেখা যায়। বিস্ফোরণের শব্দে কক্ষের ভিতরের কাঁচের জানালা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী ছুটে আসে ও আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।