মোহাম্মদ সেলিম:
সিরাজদিখানে ফেগুনাসায় রয়েছে প্রাচীন মঠ। এ মঠটি মঠবাড়ি নামে এলাকায় পরিচিত। তবে স্থানীয়রা জানেন না এ মঠটি কে তৈরি করেছেন। চার পুরুষ ধরে এখানে দাশ পরিরবার বসবাস করলেও তারা জানেন না এ মঠটি কে বা কাহারা তৈরি করেছেন। বর্তমানে এ মঠটির ইতিহাস অনেকের কাছেই অজানা রয়ে গেছে।
প্রাচীন বিক্রমপুরের অনেক জমিদার এখানে বসবাস করতেন। তাদের কেউও হয়তো এ মঠটি তৈরি করেছেন। এ মঠের ইটের গাঁথুনি শত বর্ষের পুরনো। স্থানীয়দের ধারণা এটি আড়াই বছরের পুরনো মঠ।
এ মঠটিতে শিবের পুজা করা হয়। পুজা মন্ডব বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। মঠের দক্ষিণ দিকে আলাদা করে টিনের ছাউনি দেয়া হয়েছে। যাতে বক্তরা সুন্দরভাবে আরাধনা করতে পারে।
বর্তমানে এ মঠটি দেখা শোনা করা দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি হচ্ছেন অজিত দাস। তিনি বলেন, কোন একদিন ঢাকা থেকে এক ব্যক্তি এখানে আসেন। তিনি স্বপ্নে দেখেছেন এ মঠের পাদদেশে শিব পুজা করা হচ্ছে। তা দেখতে তিনি এখানে ছুটে আসেন। এরপর থেকেই এখানে নিয়মিত পুজা করা হচ্ছে। এর আগে এখানে তেমনটা কেউ পুজা করতেন না।
এখানে চার পুরুষ ধরে যারা বসবাস করছেন তারা হচ্ছেন, হরি মোহন দাস। তার পুত্র হচ্ছেন রাজ জিয়ন্ত দাস। তার পুত্র জানকি দাস। তার পুত্র অজিত দাস।