নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জের পশ্চিম মুক্তারপুরে মদিনা ডাইং এন্ড প্রিন্টিং ফ্যাক্টরীতে শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতনের জন্য গতকাল সোমবার বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে নৌ পুলিশ এসে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মুক্তারপুর নৌ পুলশি ফাঁিড়র ইনর্চাজ মো. কবির হোসনে খান দৈনিক রজত রেখাকে জানান সোমবার পৌঁনে ১১টার দিকে ১০০/১২০ শ্রমিক কারখানাটির ফটকের সমানে বিক্ষোভ করে। পরে তারা ভাংচুর চালায় এবং কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এর আগেই কারখানাটির দু’টি জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে বিক্ষুব্দ শ্রমিকরা। এরপর শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠক করে এই পরিস্থিতির একটা সমাধান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. এমরান হোসেন খান বলেন, গত ২৪ মার্চ থেকেই মিল বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৫শ’ শ্রমিকের ৩শ’ শ্রমিক বাড়ি চলে যায়।
আরও প্রায় ২শ’র মতো শ্রমিক মুক্তারপুর এলাকার বাসায় থেকে যায়। দেশের এই পরিস্থিতিতে তাদের মার্চ মাসের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। নানা রকম চ্যালেঞ্জের মধ্যেই এর মাঝে বেতনের কিছু অংশ দেয়া হয়। বাকী টাকাও দেয়া প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়।
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বকেয়া বেতনের টাকা প্রদান করার চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান। খান বলেন, পুরান ঢাকার ন্যাশনাল ব্যাংকে লেন দেন। কিন্তু এই ব্যাংকটি সপ্তাহে একদিন মাত্র খোলা থাকছে।
এসব কারণে নানা সমস্যা হচ্ছিল। মিলটির এক শ্রমিক জানান, হাতে টাকা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই বেতনের টাকা তাদের খুব বেশী দরকার।
নৌ পুলশি ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. কবির হোসনে খান বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে। বাইরের কোন পক্ষ এখন আর শ্রমিকদের উসকানি দিতে পারবে না।