রাজশাহীতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নারীর সাথে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও অজ্ঞাত কারণে আসামি পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগি নারী।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় নগরীর সোনাদিঘী এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ দেন ওই নারী। তিনি বলেন, প্রায় ১২ বছর আগে স্বামীর সাথে আমার ছাড়াছাড়ি হয়। রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় গার্মেন্টসের কাজ করতে চলে যান।
ছুটিতে রাজশাহী আসলে নগরীর বড়বনগ্রাম এলাকার সুকতাজ ওরফে সুরুজ নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি সময়সুযোগ বুঝে বিয়ে করবে বলেন আশ^াস দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। বিভিন্ন সময় সুকতাজ ঢাকায় তার বাসায় স্বামী পরিচয়ে গিয়ে থাকতেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস ছুটির কারণে মার্চে আবার রাজশাহী ফিরে আসেন। গত এপ্রিলের ২৮ তারিখ রাতে আমাকে জোর করে বাসার পাশে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে সুকতাজ। এরপর থেকে বিয়ের চাপ দিলে তালবাহানা শুরু করে সুকতাজ।
গত মে মাসের ১২ তারিখে তার বাসায় গিয়ে বিয়ের দাবি জানালে সুকতাজসহ তার পরিবারের লোকজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে। তারপর তাকে বিয়ের জন্য বলা হলে সে বিয়ে করবে না বলে জানায়।
ভুক্তভোগি নারী আরও বলেন, গত ২০ মে সুকতাজের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের হলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আসামি ধরছে না। এছাড়াও সুকতাজ বিভিন্ন লোক দিয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক নুরনবী জানান, মামলার পর থেকে আসামি সুকচাদ পলাতক আছে। পালিয়ে থাকার কারণে তাকে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে ধরার জন্য চেষ্টাও চলছে।