তুষার আহাম্মেদ:
টঙ্গীবাড়ি উপজেলার মটুকপুর গ্রামে ব্রীজের এপ্রোচ ধ্বসে ওই সড়কে যান-চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যাস্ততম ওই সংযোগ সড়কটির উপর দিয়ে গাড়ি না চলায় বিপাকে পরেছে ওই এলাকার লোকজন। ২০১৮ সালে স্থাণীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৩০ মিটার লম্বা ওই ব্রীজটি বাস্তবায়ন করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার মটুকপুর-ধীপুর সংযোগ সড়কে মটুকপুর গ্রামের ধীপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মোল্লার বাড়ির সামনের ব্রীজটির দু-পাশের এপ্রোচ ধ্বসে গেছে। আরেকটু মাটি ধ্বসে পরলেই পায়ে হেটে যাতায়াতার পথটি বন্ধ হয়ে যাবে। দির্ঘ প্রায় ২ মাস আগে এই এপ্রোচ ধ্বসে পরলেও তা সংস্কার না করায় দিন দিন ধ্বসের পরিমান বৃদ্ধি প্রেয়েছে।
চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দির্ঘদিন যাবৎ এই এপ্রোচটি সংস্কার না হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন তিব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। ওই ব্রীজের পূর্ব পাশে এলাকাবাসীর উদ্যেগে বাশ পুতে বেড়া দিয়ে মাটি ফেলে ওই এপ্রোচ দিয়ে পায়ে হাটার মতো ব্যাবস্থা করলেও নতুন করে পশ্চিম পাশের এপ্রোচ ধ্বসের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাস্ততম ওই রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার রাউৎভোগ, ধীপুর, মটুকপুর গ্রামসহ আশে পাশের হাজার হাজার লোকজন যাতায়াত করে।
তাছাড়া উপজেলার মটুকপুর এলাকার স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার ব্রাক্ষনভিটা উচ্চবিদ্যালয়ে ও ধীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে। দিন দিন এপ্রোচটি যেভাবে ধ্বসে পরছে তাতে স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ শিশু বয়স্ক লোকদের হোচট খেয়ে পড়ে গিয়ে বড় যে কোন দূর্ঘটনা ঘটার আশংঙ্কা রয়েছে। নাম প্রকাশে অন-ইচ্ছুক কতিপয় ব্যাক্তি জানান, আমাদের বাড়ি হতে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটির উপর এই ব্রীজটির গোড়ার মাটি দুই মাস ধরে ধসে পরে আছে। অথচ ব্রীজের ৫০ গজের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান এর বাড়ি সে এটি সংস্কারের কোন ব্যাবস্থাই নিচ্ছেনা। নিজেরা কোন রকম পায়ে হেটে চলতে পারলেও আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বাড়িতে নিতে আনতে চরম ভোগন্তি শিকার হচ্ছি।
এ ব্যাপারে ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মোল্লা জনান, আমি বিষয়টি উপজেলা মাসিক সভায় উপস্থাপন করেছি। প্রশাসন যদি ব্যাবস্থা না নেয় তাহলে আমি নিজ অর্থায়নে এটি সংস্কার করে দিবো।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, গত মাসিক সভায় স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি উপস্থাপন করেছে আমরা তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো।