
সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির একপাশের শিংহভাগ জায়গা জুড়ে ভাঙন ধরায় ওই গ্রামে যাতায়াতের প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এতে করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে হাজারো মানুষ।
রাস্তাটির ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যের নিকট বারংবার বলেও সংস্কার করাতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এ রাস্তাটি ১০ বছর আগে সংস্কার করা হলেও এযাবৎকাল পর্যন্ত সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাসানচর-দোসরপাড়া (লালন শাহ বটতলা) পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এ রাস্তাটি দিয়ে ভাসানচর-দোসরপাড়া গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটির শিংহভাগ অংশ পার্শ্ববর্তী ইছামতী খালে বিলিন হয়ে গেছে। আর এ কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বিশেষ করে রাস্তাটি দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অপরদিকে রাস্তাটি দিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটর বাইক চলাচলেও ঘটছে বিঘ্নতা।
সম্প্রতি ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন তাদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে মোটামুটি মেরামত করে চলাচলের কিছুটা উপযোগী করে তুললেও বর্তমানে রাস্তাটি একেবারেই নাজেহাল।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের গ্রামে প্রবেশের এ রাস্তাটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। সে সময় থেকে আজ পর্যন্ত একবার মেরাতম করা হয়।
কিন্তু এর পর আর কেউ রাস্তাটি মেরামতের জন্য নজর দেননি। গত বছর এলাকার লোকজন মিলে কিছুটা সংস্কার করলেও আজ অবদি মেরামতের অভাবে যাতায়াতের প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে রাস্তাটির কাজের বিষয়ে বলা হলে তিনি আমাদের শুধু আশ্বাসই দিয়ে গেছেন।
তিনি কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আমাদের রাস্তাটি ভাঙা এবং কাঁচাই রয়ে গেলো। এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
রাস্তাটি দিয়ে গর্ভবতী মহিলা ও ইমারজেন্সি রোগী হাসপাতালে নেওয়ার মত কোন উপায় নেই। এম্বুলেন্স ঢুকবে দূরের কথা একটা রিক্সা ঠিকমত চলাচল করতে পারে না এই রাস্তা দিয়ে।
এলাকাবাসীদের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নির্বাচনের সময় আমাদের কাছে আসে ভোট নিতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেয় আমাদের যাতায়াতের রাস্তা, ঘাট ঠিক ঠাক করে দিবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আমাদের ভোটে জিতে কেউ আর আমাদের খবর নেয় না।।
লতব্দী ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল মাদবর বলেন, এ রাস্তাটি মেরামত করার জন্য কারো নিকট বলার বাকী নাই। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। সাবেক এমপি, ইউএনও ও থানার ওসি রাস্তাটা দেখে গেছেন এবং তারা সংস্কারের অাশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। আমরা এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে গেছি। রাস্তাটা ঠিক না হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তির সীমা নেই।
লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস,এম সোহরাব হোসেন বলেন, অনেক দৌড়াদৌড়ি করে. রাস্তাটির জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার একটি অর্ডার পাশ করিয়েছি। ভাসানচর ব্রীজের পাশে একটু জায়গা নিয়ে সমস্যা হয়েছিলো তাও আমরা সমাধান করেছিলাম। বর্তমানে রাস্তাটি বরাদ্দ বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷ রাস্তাটা হওয়া অতীব জরুরী। যে ভাবেই হোক এই বরাদ্দ দিয়েই যাতে রাস্তাটি হয় সে আশা ব্যক্ত করছি।