মোহাম্মদ সেলিম ও তোফাজ্জল হোসেন: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় আনসার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আনসার ক্লাবের সরকারি জমি জোর করে দখল করার পায়তারা করছে একটি বিশেষ মহল।
সরকারি জায়গাতে ইতোমধ্যে ঐ বিশেষ মহলটি মাটি ভরাট করে দেয়াল নির্মাণ করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ মহলের লোকজনরা সরকারি জায়গার দখলকৃত বাঁশের খুঁটি রাতের আঁধারে জমি থেকে সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে পঞ্চসার ভূমি অফিসের বাঁধার মুখে এ নির্মাণ কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। আর এ সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সরদারপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সে ব্যক্তিটি হচ্ছেন মৃত আব্দুল আজিজ বেপারির পুত্র মো: আবুল বাশার। জানা যায়, ১৯৮২ সালের ২৩ জুন ১৬/৮২ নং স্মারকে রতনপুরে আনসার ভিডিপি ট্রেনিং সেন্টারকে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কতৃপক্ষ লীজ প্রদান করেন।
সেই থেকে এখানে আনসার ভিডিপি ট্রেনিং সেন্টার কতৃপক্ষ এ সরকারি জমিটি ভোগ দখলে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আনসার কতৃপক্ষ জমিটি নিজের দখলে রাখতে সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনি হিসেবে কাটাতারের সাথে সাথে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বেড়া দেন বলে শোনা যাচ্ছে।
সেই সরকারি জমিতে সরদারপাড়ার মৃত আহাম্মদ খাঁর পুত্র মো: আব্দুর রব গংরা গত ৪ সেপ্টেম্বও ২০২০ তারিখে দোকানঘর নির্মাণ শুরু করেন। এ খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন পঞ্চসার ভূমি অফিসার। তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে এর নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন।
এরপর থেকে সেখানে এর নির্মাণ কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এর বিপরিতে অভিযোগ উঠেছে সেখানে রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করে দোকান ঘর তৈরির লক্ষ্যে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
এর ফলে এখানকার মানুষ নানাভাবে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। এ জমি নিয়ে এখানে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করছে এখানকার মানুষ। বিষয়টি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এখানকার মানুষ। পঞ্চসার ভূমি অফিসার জানান, এখানে মোট জমি হচ্ছে ১৭২ শতাংশ।
পঞ্চসার মৌজার ২৬১০ খতিয়ানের ১ একর ৭ শতাংশ জায়গা আনসার ক্যাম্পের অনুকুলে এখানে লীজ প্রদান করা হয়েছে। পঞ্চসার ভূমি অফিসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খুব শীঘ্রই সেখানে সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে জমির মাপঝোপ করা হবে। জানা গেছে,
সেখানে মোট জমিতে ২৫ শতাংশ জায়গা রয়েছে স্থানীয় ঈদগায়ের নামে। আর বাকি ৪০ শতাংশ জায়গাটি সেখানে স্থানীয়ভাবে দাবি করছেন মো: আবুল বাশার।