মোহাম্মদ সেলিম ও তোফাজ্জ্বল হোসেন: মুন্সীগঞ্জ শহরসহ যানবাহন চলাচলের একাধিক পয়েন্টে প্রতিদিনই যানজট লেগেই আছে। এসব পয়েন্টে এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্টে প্রতিদিনই যানজট তীব্র হয়ে উঠেছে। যানজটের বেহাল দশার কারণে এসব পথের পথচারীরা সহসায় এপার থেকে ওপারে যেতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর ফলে এসব ঘটনায় মুন্সীগঞ্জবাসী বর্তমানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অটো ও মিশুক চালকদের শহরের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে ট্রাফিক আইনের ধারা ও উপ-ধারার বিভিন্ন আইন সর্ম্পকে প্রাথমিক জ্ঞান না থাকার কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ট্রাফিক পুলিশ থাকা সত্বেও এর সুফল পাচ্ছে না মুন্সীগঞ্জবাসী।
এদিকে এসব পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকা সত্বেও একজন বেসরকারি ব্যক্তিও থাকেন প্রতিটি গাড়ী থেকে তোলা তোলার জন্য। যা বিষয়টি একেবারেই বেমানান বলে অনেকেই মনে করছেন। সেইসব ব্যক্তিরা একাজে নিজেদের ব্যস্ত সময় পার করে থাকেন প্রতিদিন। তাদের তোলার টাকা কোথায় কোথায় ভাগ বাটোয়ারা হয় তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।
ট্রাফিক পুলিশের খুব কাছ থেকেই এ তোলা তোলা হচ্ছে প্রতিদিন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করছেন এ বিষয়ে। মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর থেকে তিন চাকার পায়ে চালানোর রিক্সা ওঠে যাওয়ার পর থেকে অটো ও মিশুক নেমে পড়ে শহরময়। বিপুল পরিমাণ এসব যানবাহন চলাচল করছে মুন্সীগঞ্জ শহর জুড়ে।
মোটর আইন অনুযায়ি এ ধরণের যানবাহন চলাচল করতে পারে না কোন শহরেই। কিন্তু এখানে সকল ধরণের আইন উপেক্ষা করে এ ধরণের যানবাহন চলাচল করছে নিত্যদিনই। এসব যানবাহনের আঘাতে কেউ মারা গেলে আইনের কোন সাহায়্যে পাবে না বলে শোনা গেছে। কারণ হচ্ছে এ ধরণের যানবাহন মূলত অবৈধ।
যার কারণে আইনের আশ্রয় নিয়ে কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না এক্ষেত্রে। একটু ভালো থাকার জন্য অনেকেই অন্য পেশা পরিবর্তন করে এ পেশায় নেমেছেন অনেকেই। অনেকেই আবার প্রাপ্ত বয়স্ক নয়, তবুও জীবিকার তাগিদে ঐ বয়সের ছেলেরাও এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন বেঁচে থাকার আশায়। শহরে চাহিদার বেশি পরিমাণ অটো ও মিশুক চলাচল করছে বলে শোনা যাচ্ছে।
যা শহরের যানবাহন চলাচলে পরিবেশ ক্ষুন্ন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব অটো ও মিশুক চালকদের মোটেও রাস্তায় যানবাহন চালনায় প্রাথমিক ট্রাফিক জ্ঞান নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। যানবাহন চালনায় ড্রাইভিংয়ের জন্য যেসব সিগনালের জ্ঞান থাকার বিধি বিধান রয়েছে তা এখানকার চালকদের নেই বলে শোনা যাচ্ছে। ট্রাফিক বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান না থাকার কারণে শহরে যে যার মতো করে অটো ও মিশুক চালাচ্ছে প্রতিদিন। আর এ থেকে ফায়দা লুটছে বিশেষ মহল।
এর ফলে এখানে যানজট লেগেই থাকে প্রতিদিন। যার কারণে প্রতিদিনই এ শহরে ছোট ও বড় বিভিন্ন ধরণের দুর্ঘটনা ঘটছে। ঢাকা কিংবা নারায়ণগঞ্জে থেকে প্রথমে মুক্তারপুর পশ্চিমপাড়ে এসে গাড়ী গুলো থেমে থাকে। এখানে একাধিক ভারি যানবাহনসহ অটো ও মিশুকের চাপে নিত্যদিনই যানজট লেগেই রয়েছে। এ দৃশ্য প্রতিদিনেরই। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের গেইটের সামনের রাস্তায় মিশুক ও অটোর এলোপাতাড়ি যানজট নিত্যদিনের।
এখানে কে কার আগে যাত্রী গাড়ীতে উঠাবে তা নিয়ে এখানে তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। সুপার মার্কেট এলাকায় বিধি অনুযায়ি যানবাহন চলাচলের নিয়ম থাকলেও এখানে তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানটিতে চারদিকে রাস্তার অংশ রয়েছে। সে কারণে এখানে যানবাহনের চাপ অনেকটাই বেশি লক্ষ্য করা যায়। ট্রাফিকের বিধি না মানার ফলে এখানেও যানজটের চিত্র প্রতিদিনই ফুটে উঠে।
মুন্সীগঞ্জ শহরের ব্যস্তময় সড়ক হচ্ছে পুরাতন কাচারী চত্বর। এখানে যানবাহনের হযবরল অবস্থা দেখা দেয় প্রতিদিনই। কখনো কখনো এখানে একের অধিক যানবাহনের সারি লক্ষ্য করা যায়। যে যার মতো করে এখানে যানবাহন থামিয়ে যাত্রী গাড়ীতে উঠাতে টানা হেছড়া করতে দেখা যায়। এদিকে মুক্তারপুর থেকে সিপাহীপাড়া যাওয়ার পথে জোড়পুকুরপাড়ের ত্রিমুখী রাস্তায় সারাক্ষণ যানজট লেগেই থাকে।
এখানে অটো মিশুক যে যার মতো যাত্রী নামাচ্ছে আর উঠাচ্ছে। এসব কারণে এখানে এতো যানজট লাগার আসল কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন। ত্রিমুখী রাস্তার মোড়ে এসে যদি যাত্রী উঠানামা না করা হতো তবে এখানে কিছুটা যানজট কম হতো বলে অনেকেই মনে করছেন।
এ ধরণের পরিবেশ বিরাজ করছে সিপাহীপাড়ার চৌরাস্তায়। এখানে সারাক্ষণই যানজট লেগে থাকার কারণে এ পথ দিয়ে সহসা কোন লোকজন রাস্তা পারাপার হতে হতে পারে না।