মহারাজা রাজবল্লব গ্রেট বিক্রমপুরে এক সময়ের রাজা ছিলেন। তিনি রাজনগরের রাজা হিসেবে সেই সময়ে বিক্রমপুর পরগনায় শাসন করেন। সেই সময়ে এখানকার রাজা হিসেবে তিনি সাবেক শরিয়তপুরে একটি নুতন পরগণা সৃষ্টি করেন। তার এ সময়ের মধ্যে এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমিদার ও তালুকের উপর তার শাসনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
তাদেরকে সংঘঠিত করে গ্রেট বিক্রমপুর পরগণায় ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে সক্ষম হন। তার আমলে এই পরগণার রাজধানীর নাম ছিল শ্রীপুর।
যা কীর্তিনাশা পদ্মায় অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে এই রাজধানীর
প্রসাদসহ অনেক ইতিহাসের চিহ্ন। তার সাথে সেই সময়ে
শ্রীনগরের গোড়াপত্তনকারী লালা কীর্তি নারায়ণ বসু গভীর
সুসম্পর্ক ছিল বলে ইতিহাসবিদরা মনে করছেন।
তারই রাজ প্রাসাদ রাজনগর হতে আগত ভাগ্যকুলের কুন্ডদের
ভাগ্য পরিবর্তনের কথার জনশ্রুতি রয়েছে এ জনপদে। সেই সময়ে
এখানে দেবী লক্ষ্মীর আগমন নিয়ে একটি ধারনা প্রচলিত রয়েছে
ইতিহাসের লোক মুখে মুখে। তিনি সেই সময়ে ঢাকার
দেওয়ানি থাকাকালীন সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে প্রচুর
অর্থ বিত্তের মালিক বনে যান বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
তার পুত্র কৃষ্ণ দাস বাংলা থেকে আত্মসাৎকৃত অর্থ
নিয়ে ভারতের কলিকাতায় পালিয়ে যান বলে সেই
সময়ের ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে। কৃষ্ণ দাস পালিয়ে
গিয়ে ইংরেজদের কাছে আশ্রয় নেয়। তাতে রাজবল্লভ
এর পুত্রের এ ঘটনায় সেই সময়ের বাংলার নবাব
সিরাজ উদ দৌলার বিরাগ ভাজন হন রাজা রাজবল্লব। ইতিহাসের পাতার অংশ হিসেবে তৎপরবর্তী কালে মিরকাসিমের আমলে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে রাজবল্লভ ও তার পুত্র কৃষ্ণ দাস নিহত হন।