
মুন্সীরহাট এবং চরডুমুরিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়- দুধ বিক্রেতা বাজারে আসার সাথে সাথে ফইরারা দুধ কিনে নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে প্রতি লিটার দুধ ১০- ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করে। চোখের সামনে এই কেনা বেচার দৃশ্য দেখলেও নিরুপায় সাধারন ক্রেতাদের কিছুই করার থাকে না।
কারণ কারো শিশু বাচ্চা, কারো বৃদ্ধ বাবা মা বা কারো অসুস্থ্য স্বজনের জন্য দুধ অনেক সময় অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তখন বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে দুধ কিনতে হয়।
অনেক সময় ফইরারা দুধ কিনে বেশি লাভের আশায় তা প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে গাড়িতে করে ঢাকা বা
নারায়নগঞ্জে পাঠিয়ে দেয়।
চরডুমুরিয়া বাজারের একজন সাধারন ক্রেতা জানালেন- তার শিশু বাচ্চার জন্য বোতল দিয়ে আধা লিটার দুধ নিতে আসছিলেন, চোখের সামনে পাইকাররা ড্রামে ভরে দুধ শহরে নিয়ে গেল, তাই তিনি খালি বোতল নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
দুধ বাজারের এই দৃশ্য প্রায় প্রতিদিনের। এখানে নেই কোনো সরকারি তদারকি, নেই কোনো নিয়মনীতি। তাই যে যেভাবে পারছে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে কেউবা দাম বেশি হওয়ায় দুধে ভেজাল করে অধিক মুনাফা লুটছে।