তোফাজ্জল হোসেন: মুন্সীগঞ্জে এই প্রান্তিক মৌসুমে শসার ভালো ফলন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ভালো ফলনে এখানকার কৃষকদের মাঝে হাসির ঝিলিক উঁকি ঝুঁকি মারছে। এই মৌসুমে আবহাওয়া শসার অনুকূলে থাকায় এমনটি হয়েছে বলে শসা আবাদের চাষিরা মনে করছে। এই আবাদের কারণে এবার শসা চাষিরা লাভের মুখ দেখবে বলে আশা করছে অনেকেই। এবার শসার ভালো দাম পাওয়ায় আশা করছে এখানকার শসার চাষিরা। তাতে এখানকার শসার চাষিদের চোখে মুখে মহা খুশির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাস্থ দক্ষিণ ইসলামপুর গ্রামের মৃত আবেদ আলির ছেলে জলিল নিজের ৪ একর ২০ শতাংশ জমিতে ভাগ্য বদলাতে উন্নত মানের হাইব্রিড শসা রোপন করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে শসা গাছ জাংলার মাঝে শসা এমন সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। ৩৫ দিন আগে মুন্সীগঞ্জ সদরের বীজ ভান্ডার থেকে উন্নত মানের হাইব্রিড শসা বীজ এনে নিজ জমিতে রোপন করেন। সঠিক পরিচর্যা এবং যত্নের কারণে ৪ একর ২০ শতাংশ জমিতে দেখা দিয়েছে ব্যাপক ফলন।
তাছাড়া স্থানীয় বাজার গুলোতে শসার চাহিদা ও অনেকাংশে। সেই হিসেবে এর দাম ও অনেকটাই বলে জানিয়েছেন এখানকার লোকজন। ফলন দেখে মহাখুশি কৃষকের পরিবার। কৃষক জলিল জানান, ২০০০ সালে তার মাথায় প্রথম শসা চাষের পরিকল্পনা আসে। এ বছর বন্যার পানি জমি থেকে নামার পরপরই জমিতে হাইব্রিড শসা রোপন করেন। এ বছর আবহাওয়া প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি হার মানেননি এই কাজে।
ঝড় বাদল উপেক্ষা করে উন্নত মানের কীটনাশক এবং পরিবেশ বান্ধব জৈব সার এবং বেশী দামে শ্রমিক কাজে লাগিয়ে তিনি নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন এই কাজের মাধ্যমে। জানা যায়, ৪ একর ২০ শতাংশ জমিতে শসা চাষে তার মোট খরচ হয়েছে ৫ লাখ টাকা। তবে তার এই শসা আবাদ করা দেখে অন্যান্য কৃষকরা ও শসা চাষে উৎসাহিত হয়েছে। আগামিতে অনেক কৃষক শসা চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।।