মোঃ রেজাউল করিম রয়েল:
শ্রীনগরে ধর্ষণের শিকার হয়ে ৯৯৯ এ ফোন দিলে শ্রীনগর থানা পুলিশ কৌশলে ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীকে আটক করে। গত মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বেজগাঁও গ্রামের এক ভাড়াটিয়ার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার নারী ও ধর্ষক সহ পুলিশের হাতে আটক ২ জনের বাড়ী উত্তরবঙ্গে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ওই নারী বেজগাঁও গ্রামের একটি বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতো।
গত সোমবার সে ওই বাড়ির কাজে ইস্তফা দিয়ে উত্তরবঙ্গের নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় সে শ্রীনগর থেকে উত্তরবঙ্গের কোন গাড়ি না পেলে তার এলাকার পূর্ব পরিচিত পশ্চিম বেজগাঁও গ্রামের বাসুদেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া মর্জিনা বেগমের কাছে আশ্রয় নেয়। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে বাসুদেবের অপর ভাড়াটিয়া জরিপ আলী(২৪) ওই নারীর ঘরে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং তার সহযোগী অটো চালক রফিকুল ইসলাম (২২) এসময় দরজায় অবস্থান নিয়ে পাহাড়া দিতে থাকে।
ধর্ষণের পর ওই নারীকে ধর্ষকরা বেশ কিছুক্ষন আটক করে রাখে। উপায় না দেখে সে ৯৯৯ এ ফোন দিলে শ্রীনগর থানা পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশ কৌশলে ধর্ষক জরীপ ও সহায়তাকারী রফিকুলকে আটক করে। জরীপ আলীর বাড়ী কুড়িগ্রামের ভুরঙ্গামারী এলাকার শিশববাড়ী গ্রামে। তার বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম।
রফিকুল ইসলাম নাগেশ^রীর আজমাতা নাড়ীরভিটা গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে।
শ্রীনগর থানার ওসি(তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশ কৌশলে ধর্ষক ও তার সহায়তা কারীকে আটক করেছে। মামলা রেকর্ড করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।