মোহাম্মদ সেলিম ও তোফাজ্জ্বল হোসেন: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার তিলারদি ও গঞ্জ কুমারিয়া দুইটি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ধলেশ্বরী নদী। এ নদীর তীরবর্তী দক্ষিণের অংশে বিপুল পরিমাণ সরকারিভাবে অনেক খাস জায়গা রয়েছে।
সেই জায়গাতে বর্তমানে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা দখলের লক্ষ্যে সেখানে মাটি ভরাটের পায়তারা করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সেখানে বিশাল আকারে একটি পাইপ বসানো হয়েছে নদী থেকে জমি ভরাটের এলাকা পর্যন্ত। এ পাইপটি নদীর তলদেশ থেকে মাটি খনন করে আলোচিত জমিতে মাটি ভরাট করা হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এদিকে সরকারি জায়গাতে কোন অনুমতি ছাড়াই মাটি ভরাটের প্রস্তুতি নিচ্ছে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা। অন্যদিকে অবৈধভাবে নদী থেকে মাটি খনন করার জন্য ড্রেজার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানকার পুর বিষয়টি হচ্ছে অবৈধ তৎপরতা। যা সম্পূর্ণভাবেই বেআইনি বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
জানা গেছে, কুমারিয়ার মৌজার আরএস খতিয়ান নং ১ এর সিএস দাগ নং হচ্ছে ১৭, এসএ দাগ নং হচ্ছে ২৫২ ও আরএস দাগ নং হচ্ছে ২৬৫ এর জমির রকম হচ্ছে নাল। এখানে জমির পরিমাণ হচ্ছে ২২ শতাংশ। সিএস দাগ নং হচ্ছে ১১, এসএ দাগ নং হচ্ছে ২৪৬ ও আরএস দাগ নং হচ্ছে ২৫৯ এর জমির রকম হচ্ছে নাল। এখানে জমির পরিমাণ হচ্ছে ৭৭ শতাংশ।
সিএস দাগ নং হচ্ছে ১৪, এসএ দাগ নং হচ্ছে ২৪৯ ও আরএস দাগ নং হচ্ছে ২৬২ এর জমির রকম হচ্ছে নাল। এখানে জমির পরিমাণ হচ্ছে ২৮ শতাংশ। সব মিলিয়ে এখানে জমির পরিমাণ হচ্ছে ১২৭ শতাংশ।
এই সরকারি খাস জমিতে ভূমি দস্যুরা কোন অনুমতি ছাড়াই মাটি ভরাটের জন্য ড্রেজারের পাইপ বসিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে খতিয়ান ১ এর মৌজা তিলারদি দাগ নং ১৬৭ এর সিকিস্তির ১২ শতাংশ জায়গাতেও অনুরূপভাবে মাটি ভরাটের জন্য ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে।
এখানকার ভূমি দস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় এখানে কেই মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে শোনা যাচ্ছে। এখানকার অনেকের অভিযোগ হচ্ছে যে, ইতোমধ্যে এ তালিকার বাইরেও সরকারি খাস জমি দখল হয়ে গেছে। সেখানে মাটি ভরাট করে অনেকেই বসতি গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে দোকানপাট করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
এখানকার ভূমি দস্যুদের সাথে স্থানীয়রা কোনভাবেই পেরে উঠছে না বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ কর্মের সাথে এখানে মুক্তার নামে এক ব্যক্তি উৎপোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সে এখানে নাটের গুরু হিসেবে কাজ করছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তাকে এখান থেকে মদদ দিচ্ছেন এখানকার এক জন প্রতিনিধি। এখানে জন প্রতিনিধির উচিত ছিল সরকারের জমি হেফাজত করা। কিন্তু তারাই এখানে দলবদ্ধ হয়ে সরকারি জমি লুটেপুটে খাওয়ার বন্দোবস্তে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এখানকার এলাকাবাসী এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।