নিজস্ব প্রতিবেদক (রাজশাহী-রাব্বানী): অবশেষে টনক নড়েছে রাজশাহী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গগণমাধধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির কোয়ার্টারে এতোদিন
অবৈধভাবে নানা উপায়ে এবং কম ভাড়ায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা বসবাস করে আসছেন তাদের বাসা বাতিলের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ প্রকৌশলী এসএম ইমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বাসা ভাড়া আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বাতিল করা হয়েছে বলে চিঠি দিয়েছেন।
তবে অবৈধভাবে এবং কম ভাড়ায় সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যারা বসবাস করে করছেন তাদের সবাইকে বাসা বাতিলের চিঠি দেয়া হয়নি। এতে বৈষম্য ও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কমপাউণ্ডার লুৎফর রহমানকে বাসা বাতিলের চিঠি দেয়া হয়নি। যদিও লুৎফর অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেখানে বসবাস করছেন।
যাদের বাসা বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র ইনস্ট্রাকটর, ইনস্ট্রাকটর, ক্যাশিয়ার হিসাবরক্ষক, কারখানা সহকারী, নিরাপত্তা প্রহরীসহ মোট ২০ জন।
একটি সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির কম্পাউণ্ডার লুৎফর রহমান একজন সামান্য কর্মচারী হলেও কর্তৃপক্ষের সাথে তার বিশেষ সখ্যতা দীর্ঘদিন ধরে। এর সুবাদে কোয়ার্টারে বসবাসের ক্ষেত্রে তাকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব পালনে অবহেলা করলেও কর্তৃপক্ষের নজরে তিনি একজন ভালো কর্মচারী। এ নিয়ে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।
অভিযোগ রয়েছে- বাসা ভাড়া কর্তনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে। অধ্যক্ষের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পান। আর অন্যরা ঠিক এর বিপরীত। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
কোয়াটারের একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বাসা ভাড়া কর্তনের ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হচ্ছে। যাদের ৫% ভাড়ায় রাখা হয়েছে তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকেন অধ্যক্ষের কাছের লোক হিসেবে পরিচিত লুৎফর রহমান।
আর একই রকম ভবনে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে শতভাগ ভাড়া আদায় করা হয়। আর বাসা ভাড়া বৈষম্যের কারণে সরকার রাজস্ব বঞ্চিতও হচ্ছেন। #