মোহাম্মদ সেলিম ও সালমান হাসান:
শ্রীনগর উপজেলায় মান্দ্রা গ্রামে ভূমি অফিসের আদেশ উপেক্ষা করে বিরোধ পূর্ণ স্থানে দোকানঘর নির্মাণ করছে একটি প্রভাবশালী মহল। সেখানে দোকান ঘর নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি গাছও কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর বাজার মূল্য হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
এসব ঘটনায় এখানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে এখানে যে কোন সময়ে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। এখানে দিনের আলোতে প্রভাবশালী মহল সরকারি রাস্তার পাশের গাছ গুলো কৌশলে কেটে নিয়ে যায়। গাছের একেকটি খন্ড কেটে দ্রুত সেখান থেকে ভ্যানগাড়ীতে করে সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
যাতে কেউ যেন বুঝতে না পারে এখানে গাছ কাটা হয়েছে ইতোমধ্যে। এখানে গাছ কাটা শেষে সেখানে গাছের শেষ অংশটি মাটি দিয়ে ডেকে রাখা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এরপরই সেখান দিয়ে একাধিক দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে শ্রীনগর ভূমি অফিসকে জানালে তারা ভাগ্যকুলের তহশীলদারকে সেখানে পাঠান।
তারা এখানে যেন দোকান ঘর না তুলেন তার জন্য প্রভাবশালী মহলকে না করে যান সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারা এ আদেশ উপক্ষো করে সেখানে বর্তমানে দোকান ঘর নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যা এখানে সরকারি আদেশকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, দাদার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত মান্দ্রা গ্রামের মৃত মোকশেদ আকনের ছেলে মো: খোরশেদ আকন ভাগ্যকুল মান্দ্রা মৌজায় ৫৫৬ খতিয়ানের ৭৮৩ নং আর এস দাগের ১৯ শতাংশ নাল জমি ভোগ করে আসছে। তারা ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেন। আর এস এর পর্চা অনুসারে জমির
মালিকানা দাবি করে খোরশেদ বলেন, বাপ দাদার ওয়ারিশ সূত্রে ৬৫ বছর যাবৎ এই জমি আমরা এখানে ভোগ দখল করে আসছি।
কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার কারণে ১৯৮০ সালে মান্দ্রা গ্রামের আ: সালাম হাওলাদার এই জমি এস এ পর্চা সূত্রে লিজ হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই লিজ বাতিল করে দেয় সংশ্লিষ্ঠ ভূমি অফিস।
পরবর্তীকালে ওই লীজের সূত্র ধরে গাজী শামসুদ্দিন নিজ নামে লিজ গ্রহণ করেন। তা ভিপি কেস নং ২১৯/৮০ মূলে অর্পিত সম্পত্তির ‘ক’ তফসিলে লিপিবদ্ধ হয়।
এরপর আমি মুন্সীগঞ্জ ট্রাইবুনালে অবমুক্তির মামলা দায়ের করায় আদালত উভয় পক্ষকে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন