মোহাম্মদ সেলিম ও তোফাজ্জ্বল হোসেন:
গজারিয়া উপজেলায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত পাকা রাস্তাটি বর্তমানে যানবাহনের কাজে লাগছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশস্ত রাস্তাটিতে পায়ে হেটে এলাকাবাসী চলাচল করলে এর অধিক সুফল থেকে এলাকাবাসী বর্তমানে বঞ্চিত বলে শোনা যাচ্ছে। এ রাস্তা দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল না করার কারণে রাস্তার পাশের বসতিরা রাস্তার ওপরে ধইঞ্চা রোধে শোকাতে দেখা যাচ্ছে।
সদ্য রাস্তা নির্মাণের পরেই গত বছরের বন্যার পানির তোড়ে এ রাস্তার দুটি অংশের স্থানের মাটি সরে যায়। তাতে রাস্তাটির পাকা দুটি অংশ অনেকটাই ডেবে যায়। আর এর ফলে রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই আর কোন যানবাহন চলাচল করছে না। এছাড়া এ রাস্তার পূর্ব দিক দিয়ে একটি ছোট ধরণের দেয়াল নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে সর্তকতার জন্য যাতে এ পথে ভুলক্রমে কোন যানবাহন প্রবেশ না করে।
এ রাস্তা সর্ম্পকে এলাকাবাসীর অভিমত হচ্ছে, ডেবে যাওয়া অংশের রাস্তার উপরে শক্ত মাটি দিয়ে রাস্তা সমানভাবে লেভেল করে দিলে খুব সহজেই এ রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে মনে করছেন। একটু উদ্যোগের অভাবে এ রাস্তাটি বর্তমানে সচল হচ্ছে না বলে অনেকেই মনে করছেন।
জানা যায়, গজারিয়া উপজেলার মিয়াবাড়ির স্টীল ব্রীজ থেকে ফজর আলী বাড়ি পর্যন্ত সিসি রাস্তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার পর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ ১৪নং সদস্য মো: নাজমুল হোসেনের। ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে আর সিসি রাস্তাটির ঠিকাদার ছিলেন মেসার্স খান এন্টার প্রাইজ। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রকল্পের আওতায় এর নির্মাণ কাজ করা হয় বলে জানা গেছে। উদ্বোধনী নাম ফলকে এ ধরণের তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে নির্মিত রাস্তার দু’ধারে নিচু জমি ও ছোট্টখাল রয়েছে। সেখানে বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে অনেক সময়ে ভরে যায়। সেই সময়ে সেই উপচে পরা পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আর তাতেই রাস্তার নিচের মাটি সরে গিয়ে এমন বেহাল দশা হয়েছে। এসব জায়গাতে আগে থেকে যদি গাইড ওয়াল দেয়া হতো তবে এমনটি হতো না বলে অনেকেই মনে করছেন।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদ ১৪ নং সদস্যে মো: নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযেগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।