মোহাম্মদ সেলিম ও তোফাজ্জ্বল হোসেন:
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। এর ফলে বর্তমানে এই রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচলে মারাত্নক অসুবিধা দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বেহাল দশার কারণে এখানে প্রতিদিন কম বেশি যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে একাধিক খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ রাস্তাটির দুই পাশে ঘনবসতি গড়ে উঠায় এখানে বৃষ্টি হলে জলবদ্ধা দেখা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে এখানকার বৃষ্টির পানি রাস্তার দুইধারে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এখানে দিনের পর দিন পানি আটকে থাকে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছে। এ কারণে এখানকার রাস্তার পিচ মধ্যেখান থেকে উঠে গিয়ে রাস্তাটির বর্তমানে এই খানাখন্দ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
রাস্তার মাঝখানে বড় ধরণের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা দেখলে মনে হবে রাস্তাটি খৎ বিক্ষত। রাস্তার এ অবস্থার কারণে দূর থেকেই যানবাহনের চালকরা হাক ডাক দিতে থাকে যাতে এখান দিয়ে ধীর গতিতে যেন যানবাহন চালায়। তা না হলে চলতি যানবাহন দ্রুত চলাচলের কারণে এখানটাতে অনেক সময়ে উল্টে যা বলে এখানকার লোকজন এমটাই দাবি করছেন।
এসব কারণে এখানে যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হন বলে অনেকেই মনে করছেন। এছাড়া এখানে একটি বাঁক রয়েছে। সে কারণে আগ থেকে অনেক সময়ে এখানকার এ পরিস্থিতি দেখা যায় না। তখন এখানে হঠাৎ করেই যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয় বলে শোনা যাচ্ছে।
তাছাড়া এ পথের নতুন চালকরাই এ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ রাস্তাটি সবার কাছেই গুরুত্ব রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে জামালদি বাসস্ট্যান্ড থেকে খুব সহজেই এ পথে গজারিয়া উপজেলা ও গজারিয়া লঞ্চঘাটে আসা যায়। এ পথে অনেক ভারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।
সেই কারণে এখানে প্রচুর পরিমাণ বড় বড় যানবাহন চলাচল করে। এদিকে অনেক সময় ঢাকা চট্টগ্রাম মহা সড়কে বয়াবহ যানজটের সময় অনেক যানবাহন দ্রুত গন্ত্যবস্থলে যাওয়ার জন্য অনেকই জামালদি বাসস্ট্যন্ড থেকে এ পথের লিংক সড়ক দিয়ে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়া আসাও করে থাকে।
অনেক সময় উল্টো দিকের ভবেরচর থেকেও জামালদিতে যাওয়ার জন্য অনেকই এ পথে যানবাহন নিয়ে শটকাটে যাওয়ার চেষ্ঠা করে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সেইসব কারণে এ সড়কটি অনেকের কাছেই গুরুত্ব বহন করে থাকে বিপদের সময়ে।
কিন্তু রাস্তার এ বেহাল দশার কারণে এখন অনেকেই এ পথে চলাচলের সময়ে আতংকের মধ্যে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।