মোঃ আহসানুল ইসলাম আমিন :
সিরাজদিখানে সাপ্তাহ দুয়েক আগেও শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকলেও গরম ছিল আলু ও পিঁয়াজের বাজার। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হতো ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর আলু কিনতে গুনতে হতো ৩০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়। এই চড়া দাম দিয়ে আলু পেঁয়াজ কিনলেও মুখ কালো করেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে একটু একটু করে শীত যেমন বাড়তে শুরু করেছে। তেমনি কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ আলুর দামও।
উপজেলার কাঁচাবাজারগুলো এখন শীতের বিভিন্ন টাটকা শাক ও সবজিতে ভরপুর। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরবরাহ বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর দামও। এখন প্রতি কেজি দেশী পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ২৮টাকা থেকে ৩০ টাকায়।আলু বিক্র হচ্ছে ১৫ টাকায়। তাই মানুষও পেঁয়াজ ও আলু কিনছেন স্বস্তিতে। উপজেলার সিরাজদিখান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর পাশাপাশি শীতের বিভিন্ন টাটকা শাক ও সবজির দামও কমেছে।
উপজেলার বয়রাগাদি গ্রামের বাসিন্দা ক্রেতা মোঃ মাসুম বলেন, পেঁয়াজ ও আলুর পাশাপাশি শিম, কপি, লাউ সহ বেশিরভাগ সবজির দাম কিছুটা কম। তাই সবজিও বেশ কেনা পড়ছে।
মালখানগর বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ ইলিয়াস বলেন, এখন তো প্রায় সব ধরনের সবজি ১০-২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়। বাজারে এখন শীতের সবজি ছাড়াও অন্যান্য সবজির দামও বেশ কম।
এখনকার সবজির বাজারে শীতকালীন শাকের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সরিষাশাক, মুলা শাক, পেঁয়াজ শাক, ধনেপাতা, মেথিশাক, লালশাক, লাউশাক সহ আরও অনেক রকম। অনেক মানুষই দুপুরে খাবারের পাতে কোনো না কোনো শাকের তরকারি খেতে ভালোবাসেন। বাজারভেদে শাকের দামও অনেক কম। শীতকালীন সবজির দাম কমে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
সিরাজদিখান বাজারের ব্যবসায়ী শেখ আলাউদ্দিন জানান, আলু ও পেয়াজসহ সব ধরনের সবজির দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা বেশি পরিমাণে সবজি কিনছেন। সবজির দাম যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। আর যদি সবজির দাম কমে যায় তাহলে বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় তাতে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুজনই লাভবান হন।