
এ কে সরকার শাওন
আঁধার রাতের নিস্তব্ধতায়
মনের আকাশ ঝলমল করে!
দূর আকাশের চিত্রলেখা
আসন পাতে শিয়রে!
ওমন করে কি দেখো গো ?
ছিড়ে যায় যে অন্তর!
তোমাকেই দেখছি কবি,
কবিতার মতই সুন্দর!
দেখা দেখির কি আছে!
আমি কি নতুন চিড়িয়া?
তুমি আজো রসসিক্ত
চিররসিক বন্ধু রসিয়া!
মুখাবয়বে যায় যে বোঝা
এখনও ফুটন্ত গোলাপ ফুল!
মম চিত্ত বলে নিত্ত
ফাগুনের ভালবাসায় মশগুল!
বলি সাবধানে থেকো
লাগবে পেঁচা-পেত্নীর নজর!
সর্বনাশা মধুর খেলায়
উর্বশীরা অতি তৎপর!
নাহ, লাগবে না নজর
আমি যে কৃষ্ণ কালো!
শয়তান পালায় দর্শনমাত্র
চায় যে নিজের ভালো!
কালো কৃষ্ণের জন্যেই রাঁধা
জল ভরিতো যমুনার ঘাটে!
নিকষ কালো আঁধার মাঝেই
ভোরের আলো ফোটে!
বচন অতি সহি বটে
কৃষ্ণজীর বেলায় খাটে!
তাঁর মত লীলায় মাতলে
সবাই বলবে যে বখাটে!
বেশতো হলো ছল তামাশা
ঘুমাবে কখন বলো!
না কি চলবে হেঁয়ালি রাতভর
জ্বালিয়ে মোমের আলো!
আমার ঘুম রাজার মত
যার ঠিক ঠিকানা নাই!
মনের মত বন্ধু পেলে
মাটিতে বিছাই চাটাই!
থাকো তুমি রাজার মত
আমার যাবার সময় হলো;
আঁখি খুলে দেখি চারিধার
নিকষ কাজল কালো!
মোমের আলো জ্বেলে দেখি
শিখায় তারই প্রতিচ্ছবি!
এতো ভালবাসার মাঝেও
আমি বন্ধুহীন কেন ভাবি!
চারপাশের মানুষগুলো
বাসে কতো না ভালো!
আমার চোখে সবই সুহৃদ
ভুবন ভরা আলো!
কাব্যগ্রন্থঃ আলো-ছায়া
হলুদ-ছোঁয়া
এ কে সরকার শাওন
কেউ বলে হলুদ,
কেউ বলে সোনালী,
আমি বলি……. হলুদ রং
সবচেয়ে প্রভাবশালী !
আবেগ-অনুভূতিকে করে উদ্বেলিত
কবিকে করে খেয়ালী!!!
কেউ বনে যায় হিমু
হলুদ পান্জাবী পরে;
রক্তলাল পদ্ম হাতে নিয়ে
বনে বাদাড়ে ঘুরে ফিরে মরে!
হলুদ মিশে যায় সবখানেই
সবাইকে ভালবাসে,
হলুদের কাছ নেই ভেদাভেদ
সবারই যে কাজে আসে।
অঘ্রাণে পাকা ধানের
হলুদের সমারেহে
সবার মন-প্রাণ কেড়ে যায়,
কৃষাণ-কৃষাণীর মুখ ফোটে হাসি
তাঁরা ভাসে খুশীর বন্যায়।
বর-কনে আশীর্বাদ লভে
তাজা হলুদের ছোঁয়ায়।
বসন্তরাজ পূর্ণ হয় হলুদের আভায়,
প্রিয়ার খোঁপা সার্থক হয়
হলুদ গাঁদা ফুলের শোভায়।